সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের রাজ্যে সংগঠন তৈরির লক্ষ্য মিমের। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে লড়াই করবে তারা, জানাল আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল (AIMIM)। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বুথে বুথে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে মিমের তরফে। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করেছে মিম। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, একেবারে তৃণমূল স্তরের দলীয় সংগঠন তৈরির জন্যই কি পঞ্চায়েতকে বেছে নেওয়া হচ্ছে? বেছেও নেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দেগঙ্গাকেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় আসতে পারেন খোদ আসাদউদ্দিন ওয়েসিও, ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তেমনই। 


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় দিকে দিকে এখন মিমের পতাকা লাগানোর তোড়জোড়। দেগঙ্গা বাজার এলাকা ছেয়ে গেছে মিমের পতাকায়। আসাদউদ্দিন ওয়েসির দলের নজর এবার সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত এই এলাকা। দেগঙ্গা বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত, সর্বত্র এখনও তৃণমূলের আধিপত্য়। সংখ্য়ালঘু ভোটব্যাঙ্কের সিংহভাগই তাদের দখলে। উল্টোদিকে মিমের মূল ভোটব্য়াঙ্কও সেই সংখ্য়ালঘুরাই। ফলে পঞ্চায়েত স্তরে এই দুই দলের ভোটের লড়াই হলে, তা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 


রাজনৈতিক তরজা:
মিমের রাজ্য সভাপতি সাবির এস গফ্ফর বলেন, 'দেগঙ্গায় আমরা সব জায়গায় ঝান্ডা লাগানোর অভিযান শুরু হয়েছে। আগামি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেগঙ্গায় মিম ভোটে অংশগ্রহণ করবে। দেগঙ্গায় সব বুথে প্রার্থী দেব। প্রয়োজনে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি সাহেবকেও দেগঙ্গায় নিয়ে আসব।'যদিও মিমের এই উদ্যোগকে একটুও আমল দিতে চাইছে না রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল (TMC)। দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, 'দেগঙ্গা বা বাংলার বুকে কোনও দল ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে পারবে না। বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছে পারেনি। ইদানিং আইএসএফও চেষ্টা করেছে, পারেনি।' দেগঙ্গায় তৃণমূল কিংবা মিমের মতো আইএসএফ (ISF)-এর মূল লক্ষ্য়ও সেই সংখ্য়ালঘু ভোটব্য়াঙ্ক। অর্থাৎ লড়াই হলে তা ত্রিমুখী হবে। আইএসএফ-এর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কুতুবউদ্দিন বলেন, 'কোন রাজনৈতিক দলের পোস্টার পড়ল কী পড়ল না তা নিয়ে আইএসএফ ভাবিত নয়। ভোটের ময়দানে যে রাজনৈতিক দলই আসবে আইএসএফ স্বাগত জানাবে।' এই তিন দলের মধ্যে মূল লড়াই হলেও হাল ছাড়ছে না বিজেপি (BJP)। বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, 'এতদিন পর মুসলিমরা বুঝতে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রহণ করে উন্নয়নের ছিটেফোঁটা হয়নি। তৃণমূল, মিম কেউ আপনাদের উন্নয়ন করবে না। যদি উন্নয়ন করতে হয় ভারতীয় জনতা পার্টি করবে।'


আরও পড়ুন: 'মানুষের স্বার্থেই নির্দেশ, নতুন সূর্যোদয় বাংলায়', কেন্দ্রীয় বহিনী মোতায়েন নিয়ে বললেন রাজ্যপাল