কলকাতা: অশান্তির খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরে এসেছিলেন। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েনের নির্দেশকে এ বার স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করবেন রাজভবন। মানুষের স্বার্থেই আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 


রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট


রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর হনুমান জয়ন্তী নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সেই আবহে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নবান্নের তরফেও সেই মতো তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। 


বুধবার সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "সবকিছুর জন্য আমরা তৈরি। কাল একসঙ্গে কাজ করবে কেন্দ্র-রাজ্য-রাজভবন। মানুষের স্বার্থেই হাইকোর্টের রায়। গুহায় ঢুকে থাকবে দুর্বৃত্তরা। কাল বাংলার মানুষের জন্য নতুন সূর্যোদয় হবে। মানুষের স্বার্থে হাইকোর্টের রায়। আমরা একসঙ্গে থাকব।"


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নজরবন্দি করা হোক মমতাকে, দাবি তুললেন শুভেন্দু


নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা, হুগলি, ব্যারাকপুরে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ট্যুইটারে সেই আবেদন মঞ্জুরের কথা জানানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করতে বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তার আগে, এ দিন কামারহাটি, চুঁচুড়ায় রাজ্য পুলিশ রুট মার্চ করেছে।


রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে আদালত


এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে আদালত। আদালত বলে, "শান্তি ফেরাতে কিছু করা দরকার। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিন।" হনুমান জয়ন্তীতে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য পেশ না করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সার্বিক ভাবে হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারীর আইনজীবী। সেই মামলায় বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, "চিকিৎসার থেকে প্রতিষেধক ভাল। গতবার গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রা নিয়ে আমি শুনানি করেছি। গত ৮-৯ বছর ধরে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সামনে হনুমান জয়ন্তী আসছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, রাজ্য পুলিশ না পারলে প্যারামিলিটারির সাহায্য নিন।"