সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ''লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে সরকারের (WB Govt)।তার ফলে সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমপরিমাণ হারে ডিএ (DA) দেওয়া যাচ্ছে না', শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে 'দিদির সুরক্ষা কবচ'-কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)।


ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের লাগাতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'এটা চলবেই।সকলকে তো আর সন্তুষ্ট করা যায় না। আমাদের এখন প্রত্যেকের বাড়ি যেতে হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ‍্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।তার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা লাগছে।ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) যেগুলো দেয় না।আর সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিই।সেই কারণে বাজেটের একটা অংশের টাকা ওদিকে (সামাজিক প্রকল্প) চলে যাচ্ছে।তাই আমরা ডিএ-র পুরোটা দিতে পারছি না।'


চলতি সপ্তাহে ২০ তারিখে  খাদ্য ভবনে শুনতে পাওয়া যায় ভিন্ন মতামত। একদিকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থেকে রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীচারিরা। পাশাপাশি, তারই পাশে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন যারা রয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  অভিনন্দন জানিয়ে তাঁরা এখানে কিন্তু, পাল্টা স্লোগান এখানে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, যারা উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে চাইছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।  বাংলার উন্নয়ন যেভাবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে যারা বাধা দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। এত আর্থিক বঞ্চনা সত্বেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তাতে আমরা খুশি আছি।'






 


 

অপরদিকে, শুভেন্দু বলেন, 'ডিএ সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের, তার রাজস্ব আদায় থেকে দিতে হয়। অন্য রাজ্য যা করছে সেটা এই রাজ্যকেও করতে হবে। একমাত্র ওষুধ হচ্ছে অফিসগুলোতে তালা-চাবি লাগানো। জরুরি পরিষেবা ছাড়া তালা-চাবি লাগান। যতক্ষণ না ডিএ দিচ্ছে, আটকে রাখুন, জব্দ হবে। এখন আংশিক করছেন, আগামীদিনে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন, আমাদের সমর্থন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে জব্দ করতে হয় সরকারি কর্মীরা জানে। আজ আংশিক সফল হয়েছে, আগামী দিনে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে, আমরা পাশে আছি।'