সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এক জন বা দু’জন নয়, নোয়াপাড়ার তৃণমূল নেতাকে খুন (Noapara TMC Leader Murder) করতে দু’জনের বেশি লোক এসেছিল বলে ধারণা পুলিশের। তবে দুষ্কৃতীরা কোন পথে এসেছিল এবং কোন রাস্তা ধরে বেরিয়ে যায়, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তারে। তবে এই গোটা ঘটনায় বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুলছে তৃণমূল (TMC)। এমনকি এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)  অর্জুনকে ‘পেশাদার খুনি’ বলেও আক্রমণ করেছেন।


তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রবিবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় তারা। ওই কুকুর ঘটনাস্থল থেকে মৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি যায়। সেখানে কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফিরে যায় ঘটনাস্থলে। তার পর রেললাইনের দুই পাড়েও ঘোরাঘুরি করে কিছু ক্ষণ। রেললাইনের অপর দিকে মায়াপল্লী। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মায়াপল্লী দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নিশ্চিত ভাবে জানতে খোঁজ-খবর নিচ্ছে পুলিশ।


শুক্রবার রাতে ইছাপুরে নিজের বাড়ির কাছে খুন হন তৃণমূল নেতা সুশান্ত মজুমদার ওরফে গোপাল। তিনি নোয়াপাড়া শহরের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। দলের কার্যালয় থেকে ফেরার পথে রাত সওয়া ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে গুলি ছোড়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ বসানো হয় মাথায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।


আরও পড়ুন: Birbhum BJP: 'গুরুত্ব নেই দলে', অনুব্রতের উপস্থিতিতে তৃণমূলে একঝাঁক বিজেপি নেতা


মৃতের স্ত্রী-ও তৃণমূল করেন। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তিনি। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই গোপাল দুষ্কৃতীদের নিশানায় ছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কিছু দিন আগে সুশান্তর ঝামেলা হয় বলে সামনে এসেছে। অভিযোগ, সেই সময় সুশান্তকে বিজয় খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে বিজয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।