সমীরণ পাল, রাজারহাট : আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, আর মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই (TMC) একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় রাজারহাটের কীর্তিপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়াগাছা গ্রামে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। রাজারহাট থানার পুলিশ (Rjarhat Police Station) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। উভয়পক্ষের কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)।


ঠিক কী হয়েছে


এক পক্ষের দাবি, বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের মাটিয়াগাছা গ্রামের তৃণমূল কর্মী মিজানুর রহমান তাঁর অফিসে কয়েকজন সমর্থককে দলীয় কাজের জন্য ডাকেন। তাঁরা মোটরবাইকে করে যাওয়ার সময়, আরেক গোষ্ঠীর কর্মীরা নুরউদ্দিন মোল্লা নামে এক কর্মীকে রড দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন। অন্যদিকে সফিক শা নামে এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, তাঁরা যখন পার্টি অফিসের সামনে বসেছিলেন, তখন মিজানুর রহমান দলবল নিয়ে এসে হামলা চালান। সংঘর্ষের জখম হয়েছে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। 


রাজনৈতিক চাপানউতোর


তৃণমূলের এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুললেও, অঞ্চল সভাপতি আবার গোটা ঘটনায় CPM-এর দিকে আঙুল তুলেছেন। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বামেরাও। কীর্তিপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আসরফ আলি মোল্লা বলেছেন, 'যারা গন্ডগোল করেছে সিপিএমের লোক, আইএসএফের লোক।' পাল্টা সিপিএমের বারাসাত দক্ষিণ ১ নং এরিয়া কমিটির সদস্য কুতুবদ্দিন আহমেদ বলেছেন, 'নিজেদের খাওয়া নিয়ে ঝামেলা, আমাদের কোনও যোগ নেই।'


তৃণমূলের দুই পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, সেখানেও উত্তেজনা ছড়াও। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের (Pashchim Medinipur) মোহনপুরে (Mohanpur) নতুন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তৃণমূলেরই (TMC) একাংশের। আগে ব্লক সভাপতি থাকাকালীন দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি মানিক মাইতি (Manik Maity)। অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। গুরুত্ব দিতে নারাজ মানিক মাইতি। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা (Political Tussle)। এই ঘটনাকে 'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' বলে কটাক্ষ করে বিজেপি। সব মিলিয়ে শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তরজা তুঙ্গে। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরেও (East Midnapur) প্রকাশ্যে তৃণমূলের (tmc) অন্দরের মতানৈক্য। পদ হারিয়ে, চোখের জল ফেলে সরকারি গাড়ি ছেড়ে অটোয় বাড়ি ফিরলেন হলদিয়ার বিদায়ী চেয়ারম্যান। শেষবেলায় ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় নেতৃত্বের উপর। 


আরও পড়ুন- রাজনীতিকদের বিতর্কের সঙ্গে কুকুরের ঘেউ ঘেউ-এর তুলনা ! মদনের সাজেশন ভাইরাল