সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা,শ্যামনগর: স্কুলে জাতীয় পতাকা (National Flag) তোলার সময় ড্রাম বাজানো হয়। তাকে ঘিরে পরিস্থিতি অপ্রীতিকর আকার ধারণ করল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas News) কাউনগাছিতে। সেখানে স্কুলের শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল (teacher Beaten Up)। প্রহৃত শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ স্কুলেরই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। 


পতাকা তোলার সময় ড্রাম বাজানোকে ঘিরে অশান্তি


উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের কাউগাছির ঘটনা। সেখানকার স্বামী বিবেকানন্দ স্কুলেই জাতীয় পতাকা তোলাকে ঘিরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে জাতীয় পতাকা তোলার সময় স্কুলের ড্রাম বাজানো হয় বলে অভিযোগ সামনে আসে। তাকে কেন্দ্র করেই তেতে ওঠে পরিস্থিতি। 


স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, পতাকা তোলার সময় ড্রাম বাজানোর ঘটনা সামনে আসে। তাতে স্কুলের শিক্ষক রানা চৌধুরীর সঙ্গে বচসা বাধে স্কুলের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় ঘোষের। ক্রমে তা হাতাহাতি, মারামারিতে পৌঁছয়। স্কুলের শিক্ষককে প্রেসিডেন্ট মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। হাসপাতালে ভর্তি কার হয়েছে তাঁকে। 


আরও পড়ুন: CPM Rally: 'দিদিকে কে বাঁচায়, সেটাই দেখার', বহরমপুরের মিছিল থেকে সরব মহম্মদ সেলিম


পতাকা তোলার সময় ড্রাম বাজানোর ঘটনা এত বড় আকার ধারণ করল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় ঘোষ স্থানীয় তৃণমূল নেতাও বটে। তাই রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে তাঁর। শুধু ড্রাম বাজানোকে কেন্দ্র করেই অশান্তি বাড়ে, নাকি আরও কিছু সমস্যা ছিল, তা বিশদে জানা যায়নি।


ঝাড়গ্রামেও অশান্তির পরিবেশ, পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীরা


অন্য দিকে, ঝাড়গ্রামের চিচড়ায় পঞ্চায়েত দফতরে গ্রামবাসীদের তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে।  সেখানে বিক্ষোভেও শামিল হন গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে দীর্ঘ ক্ষণ। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত দু’জন কর্মী চিচড়া পঞ্চায়েত দফতরে কাজ করছিলেন। সেটা দেখেই বিজেপি কর্মীরা কয়েক জন গ্রামবাসীকে নিয়ে সেখানে জড়ো হন। অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কারচুপি ঢাকতে ফাইল লোপাটের জন্যই গভীর রাতে কাজ করছিলেন ওই দুই কর্মী। এর পর রাতেই পুলিশ ডেকে পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও সেই তালা খোলেনি।


যদিও পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডের জন্য সমস্ত পরিষেবা চালু থাকলেও দফতরের কাজ বন্ধ ছিল। সেই জমে যাওয়া কাজ গোছাতেই রাত পর্যন্ত নথির কাজ চলছিল। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঝাড়গ্রাম জেলায় রয়েছে। সেই জন্যই দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটে পঞ্চায়েত তৎপর হয়ে উঠেছে বলে পাল্টা দাবি বিক্ষোভকারীদের। তদন্তের নির্দেশ এলে তবেই তালা খুলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।