সমীরণ পাল, সোদপুর: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas News) সোদপুর (Sodepur News) থেকে আবারও নিখোঁজ এক যুবক। দুর্গাপুজোর নবমীর পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে (Missing Man)। পরিবারের তরফে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এ বার সিআইডি এবং লালবাজারের দ্বারস্থ হচ্ছে যুবকের পরিবার। সুস্থ অবস্থায় যুবককে ফিরে পাওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের।
সোদপুরে আরও এক যুবক নিখোঁজ, খোঁজ নেই এখনও
সোদপুর সুখচরের টিএন ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা ওই যুবক। নাম দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে তুলি। বয়স ৩৫ বছর। উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে মোটর মেকানিক্স পাস করেন তিনি। তার পর দীর্ঘদিন কর্মহীন রয়েছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে মারা যান বাবা রুদ্র নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর এপ্রিল মাসে সাগর দত্ত হাসপাতালে মারা যান মা-ও। এর পর থেকে একাই সুখচর টিএন ব্যানার্জি রোডের ‘অরুণিমা’ আবাসনের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ‘অরুণিমা’ আবাসনেই ফ্ল্যাট রয়েছে দেবাশিসের কাকার। আচমকা কিছু দিন আগে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে কাকাকে জানান দেবাশিস। ব্য়ারাকপুরে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে জানান কাকা এবং কাকিমাকে। পুজো মিটলে তাঁদের নতুন ফ্ল্যাট দেখাতে নিয়ে যাবেন বলে জানান। কিন্তু পুজোর সময় হঠাৎই জানান, বাড়িতে একা থাকতে ভাল লাগছে না তাঁর। ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন।
দেবাশিসের পরিবার জানিয়েছে, কাকার বাড়িতেই সপ্তমীর দিন খাওয়া-দাওয়া সারেন তিনি। কিন্তু নবমীর পর থেকে ফোনে আর যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। যত বারই ফোন করা হচ্ছে, অপর প্রান্ত থেকে সুইচ অফ করা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। নবমীর রাত সাড়ে ১০টায় শেষ বার দেবাশিস হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর নয় দিন পার হয়ে গেলেও, তাঁর কোনও খবর নেই।
নবমীর পর থেকে যোগাযোগ করা যায়নি যুবকের সঙ্গে
দেবাশিসের পরিবারের তরফে খড়দা থানায় নিখোঁজের ডায়েরি দায়ের করেন। কিন্তু তদন্তে নেমে দেবাশিসের খোঁজ পায়নি পুলিশ। এখনও তদন্ত চলছে। তার মধ্য়েই শুক্রবার দেবাশিসের পরিবারে লোকজন সিআইডি ভবনে যাচ্ছেন। লালবাজারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে উদ্য়োগী হয়েছেন তাঁরা। আতঙ্ক এবং দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে গোটা পরিবারের। এ ভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কতজনের দেহ উদ্ধারের খবর দেখেন সংবাদমাধ্যমে। তাতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সুস্থ অবস্থায় দেবাশিস ফিরে আসুন, সেই প্রার্থনাই করছেন সকলে। এ ব্যাপারে পুলিশ এবং প্রশাসনের সাহায্য় চাইছেন তাঁরা।