ঠাকুরনগর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আগমন ঘিরে তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদককে তীব্র কটাক্ষ করলেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Mamata Bnaerjee)  ছাড়া অভিষেকের কী পরিচয়, প্রশ্ন তুললেন তিনি। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের কী কাজ, প্রশ্ন তুললেন। 


জনসংযোগে রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছনোর কথা অভিষেকের। তার জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুতি চলছিল। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতাবালা ঠাকুর সব দেখভাল করছিলেন। রাজ্য পুলিশের একটি দলও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে যান। নাটমন্দিরে পুলিশকে দেখেই ছুটে আসেন শান্তনু।


নাটমন্দিরে পুলিশ কেন ঢুকেছে, প্রথমেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। তার পর কার্যতই পুলিশকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। অভিষেক চলে গেলে গোবরজল দিয়ে ঠাকুরবাড়ির শোধন হবে বলেও জানান। তবে সেখানেই থামেননি শান্তনু। বাইরে সংবাদমাধ্যমেও ক্ষোভ উগরে দেন। অভিষেককে নিশানা করে বলেন, "কে ও? ও কোন মন্ত্রী? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এলেও হয় না।"


আরও পড়ুন: Shantanu Thakur: ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের আগমন ঘিরে তুঙ্গে পারদ, চলে গেলে গোবরজল দিয়ে শোধন, জানালেন শান্তনু


অভিষেককে নিশানা করে শান্তনু আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ অভিষেক কে? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ও তা-ই হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে? ওর লোকসভায় এসব হোক।"


যদিও শান্তনুকে একহাত নিতে ছাড়েননি মমতাবালা। তিনি বলেন, "ঠাকুরনগরবাসী কী করবেন জানি না। কিন্তু আমরা যাঁরা আছি, আপনারা দেখবেন একটু পরেই কী ভাবে জনজোয়ার নামে।" অভিষেকের আগমন নিয়ে মমতাবালা বলেন "হরি গুরুচাঁদ জাতপাত ভেঙে দিয়ে মানবতার ধর্ম সৃষ্টি করেছিলেন, মতুয়া ধর্ম। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আসতে পারেন এখানে।" এ নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।


এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে পোস্টারও ঝোলানো হয় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে।অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের দাবি, মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুর সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করেও ক্ষমা চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রতিবাদ জানাতেই এই পোস্টার। সেই নিয়ে শান্তনু বলেন, "পোস্টার দেওয়া তো হবেই! ওর পিসি ঠাকুরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করবে, ছেড়ে দেবে নাকি ওদের? ঠাকুরবাড়িতে রাজনীতি করতে আসছে। আগে একটা ছিল, সেটাকে দূর করা হয়েছে, এ বার এ এসেছে।"