আব্দুল ওয়াহাব, উত্তর ২৪ পরগনা: একদেশ থেকে অন্যদেশে পশু পাখি পাচারের ঘটনা লেগেই রয়েছে। এবার ফের সেই ঘটনাই সামনে এল। হাসনাবাদ এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কালো ভাল্লুক শাবক পাচার হচ্ছিল। শুক্রবার খবর পেয়েই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে ভাল্লুক শাবক পাচার রুখে দিল পুলিশ। 


জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে বসিরহাট (Basirhat) সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ভাল্লুক (Rare Beer) পাচার হচ্ছে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়া মাত্রই অপারেশনে নামেন পুলিশকর্মীরা। বসিরহাট জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বসিরহাট সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি চালাতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও কোনও খোঁজ পাওয়া যা না। অবশেষে সন্ধেবেলা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে যে, হাসনাবাদের মুরারিশা ঘোষ পাড়া এলাকা দিয়ে ভাল্লুক শাবক পাচার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। জানা যাচ্ছে, রাত নটা নাগাদ আচমকাই সেখানে পুলিশ হানা দিলে পাচারকারীরা তাঁদের দেখেই ভাল্লুক শাবকদুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাল্লুক শাবকদুটিকে উদ্ধার করে রাত পৌনে একটা নাগাদ পুলিশকর্মীরা বসিরহাট বন দফতরের হাতে তুলে দেন। রাতেই ভাল্লুক শাবকদুটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ভাল্লুক পাচার কাণ্ডের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ধরার জন্য তদন্তও চালানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন - North 24 Paraganas News: পাওনা টাকা নিয়ে স্কুলেই দুই শিক্ষকের মারামারি! জখম হয়ে হাসপাতালে একজন


প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বাংলাদেশে ময়ূর পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পুলিশকর্মীরা যখন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালান, তখন ময়ূরগুলিকে ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। নিত্যদিন এমন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বন্যপ্রাণের নিরাপত্তা।