সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ (উত্তর দিনাজপুর): গতকাল মিলেছিল হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। সেই নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তারপর নামখানা (Namkhana)। তারপর এবার রায়গঞ্জ (Raigunj)। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন (Sexual abuse) করে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ
রায়গঞ্জ থানা এলাকার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর ওপর শারীরিক অত্যাচার। তারপর খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনায় অভিযুক্তের নাম মুজাফফর আলি। এই কাণ্ডের পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পরিবার।
মহিলাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
নদিয়ার হাঁসখালির পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ। নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে যখন তোলপাড় রাজ্য, সেই সময় ফের আরও একবার ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। এবার কাকদ্বীপ। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় তিন দিন আগে। বর্তমানে ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে মহিলা শৌচাগারে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল শৌচাগার। ৪ থেকে ৫ জন মহিলা তার উপর আক্রমণ করে। হাত পা বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁরই বাড়ির দোতলায়। এমনকী ওই মহিলার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই তাঁর গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশী সহ পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই ২ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ধর্ষণের মামাল রুজু হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি গণধর্ষণ হয়েছে।