রায়গঞ্জ: 'মাস্টারমশাই চাকরি দিয়ে দিন, না হলে ফল ভাল হবে না। ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, মনে রাখবেন বিচারব্যবস্থা বলে একটা বিষয় আছে।’ রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ভর্ত্‍‍সনা করল হাইকোর্ট। নথি থাকা সত্বেও স্কুলে যোগ না দিতে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়।


সেই মামলার প্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশ অনুযায়ী আজ হাই কোর্টে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক এবং সংযুক্তা রায়। এ দিন রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ভর্ত্‍‍সনা করে হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘সব নথি নিয়ে একজন শিক্ষিকা ঘরে বসে আছেন। এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না, আপনারা শুধু দেখছেন। মহিলার পর পৌরুষ ফলানো হচ্ছে।’


দীর্ঘ ১৩ মাস পর অপেক্ষা শেষ হল শিক্ষিকার। 'খুনী' শিক্ষকের পরিবর্তে সংযুক্তা রায়কে তাঁর প্রাপ্য চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা পদে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সংযুক্তা রায়কে। সোমবার রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলকে এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এতদিন সংযুক্তা রায়কে চাকরিতে যোগ না দিতে দেওয়ার কারণে করোনেশন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের তীব্র নিন্দা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: WB By-Poll 2022: বাবার প্রচারে কি আসানসোলে সোনাক্ষী! কী জানালেন মা?


উত্তর দিনাজপুরের  টুটিকাটা হারমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলে চাকরি করতেন সংযুক্তা রায়। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত করোনেশন স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে তিনি পদ পান। সেই মতো জেলা স্কুল পরিদর্শক ওই নিয়োগে অনুমতিও দিয়ে দেন। কিন্তু বাধ সাধে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সংযুক্তার নিয়োগ স্থগিত করে জানান ইতিমধ্যে এক জন শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মরত রয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে আদালতে সেই দাবি ভুল প্রমাণিত করেন সংযুক্তা। আর সেই মতোই আজ সংযুক্তা রায়কে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় হাই কোর্টের তরফে।