সুদীপ চক্রবর্তী, করণদিঘি: দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজোও অতিক্রান্ত। এখন অপেক্ষা দীপাবলির। তবে এখনও যদি শারদীয়ার আমেজ পেতে চান, মিলতে পারে। তার জন্য সাত সমুদ্র পার করে, প্রবাসের পুজোয় যেতে হবে না। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামে চলে এলেই হবে। শহর থেকে দূরে, এই মুহূর্তে শারদীয়ার আমেজ এখানে। (North Dinajpur News) পুজো শেষের হতাশা কাটিয়ে তাই ঘুরে যেতে পারেন। হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন।
করণদিঘি ব্লকের সিঙ্গারদহ, ফতেপুর, মাংনাভিটা, চুনামারি-সহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা মূলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের। দুর্গাপুজোর দশমীর পর আটদিন পর এখানে দেবীর বোধন হয়। পুজো চলে চারদিন ধরে।পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে গ্রামে। মূলত রাজবংশীদের পুজো হলেও, আশেপাশের গ্রাম তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকেও ভক্তদের সমাগমও ঘটে এখানকার পুজোয়। (Durga Puja 2023)
কলকাতা-সহ বাংলার প্রায় সর্বত্র পুজো অতিক্রান্ত হলেও, করণদিঘিতে এই মুহূর্তে পুজোর রেশ। এখানে সোনামতি কুম্ভরানি হিসেবে পূজিত হন। নিয়ম অনুযায়ী, দশমীর আটদিন পর, প্রথম মঙ্গলবার ষষ্ঠী পুজো সম্পন্ন হয়। তার পর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর পুজো প্রচলিত রয়েছে এখানে। পাশাপাশি চলবে মেলাও। দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মায়ের কাছে নিজেদের বাসনা জানাতে আসেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Habra News: তিল তিল করে জমানো টাকা উঠল চিতায়, আগুনের গ্রাস থেকে কাকার শেষ সম্বল উদ্ধার করলেন ভাইপো
নয় নয় করে এই পুজোর বয়স কয়েকশো বছর। গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে দুর্গাপুজো হলেও, এই পুজো বাড়তি গুরুত্ব পায়। তাই এখানে ভক্তির টানে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। মায়ের নামে যে বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে, সেখানে ফসল ফলিয়ে যে টাকা লাভ হয়, সেই টাকাতেই পুজোর আয়োজন হয়। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, মায়ের আশীর্বাদেই আজও তাঁদের গ্রাম শস্য-শ্যামল এবং কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পারে না তাঁদের।
পুজোর আয়োজকরা জানিয়েছেন, শনিবার দশমীর দিন বিসর্জন দেবীর। তার আগে বুধবার থেকে তিন দিনের মেলা বসেছে। পুজো এবং মেলায় ভিড় উপচে পড়ছে। আশেপাশের গ্রামের মানুষেরাও এই পুজোয় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখানকার দেবী অত্যন্ত জাগ্রত, সকলের মনের কামনা পূরণ করেন বলে মনে করেন তাঁরা। তাই পুজোর সময় এখানে ভিড় করেন সকলে।