পুণে: দুরন্ত ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) ক্রিকেট দল। বিশেষ করে দলের ব্যাটিং লাইন আপ। নিউজিল্যান্ডের (New Zeland) বিরুদ্ধে ম্যাচেও প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে সাড়ে তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে গেল প্রোটিয়া শিবির। শতরান হাঁকালেন কুইন্টন ডি কক ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান বোর্ডে তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। ডুসেন ১৩৩ ও ডি কক ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন। জয়ের জন্য প্রোটিয়া শিবিরের প্রয়োজন ৩৫৮ রান। এদিনের ম্য়াচে যে জিতবে সেই দলই সেমিফাইনালের দৌড়ে আরও এগিয়ে যাবে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক বাভুমা ও ডি কক। রেজা হেনড্রিকস দুটো ম্যাচে রান পেলেও ফের তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অধিনায়ক বাভুমা ফিরে আসায়। কিন্তু এদিনের ম্যাচে ভাল শুরু করেও বড় রান করতে পারলেন না প্রোটিয়া অধিনায়ক। মাত্র ২৪ রান করে ফিরলেন তিনি। এরপর তিন নম্বরে নেমেছিলেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ডি ককের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। চলতি বিশ্বকাপে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এই ম্যাচে আরও একটি সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। এটাই শেষ বিশ্বকাপ তাঁর। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে থেকে এরপরই অবসর নেবেন। তার আগে নিজের সেরা ফর্মে রয়েছেন ডি কক। এদিন ১১৪ রান করে আউট হলেন যখন তখন তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। 


ডি কক ফিরে যাওয়ার পর শতরান পূরণ করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেনও। তিনিও এর আগে একটি শতরান চলতি বিশ্বকাপে হাঁকিয়েছিলেন। এদিন ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন ডুসেন। নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে মিলার ৩০ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। ২টো বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি প্রোটিয়া ব্য়াটার। টিম সাউদিন এদিন ফিরে এসেছিলেন কিউয়ি একাদশে। তিনি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৭৭ রান খরচ করেন । ১ টি করে উইকেট নেন জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট। এদিন কিউয়ি বোলাররা মোট ১২টি অতিরিক্ত রান দেন।