ইসলামপুর: তবে কি মিটল ভুল বোঝাবুঝি ? গলল বরফ ? আজ্ঞে হ্যা খবর তেমনই।সংঘাতের (Inner Clash) পরে এবার সৌজন্য, আব্দুল করিমের (Abdul Karim Chowdhury)বাড়িতে কানাইয়ালাল। ফুলের তোড়া দিয়ে কানইয়ালালকে (Kanhaiyalal Agarwal) স্বাগত জানালেন আব্দুল করিম চৌধুরী।


সাক্ষাৎ হলেও, মান কি ভাঙল ইসলামপুরের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়কের? ইসলামপুরে ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে সংঘাত 'জাকিরকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করলেই থামবে বিদ্রোহ', উঃ দিনাজপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি বিধায়কের। আলোচনা হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ, বিদ্রোহী বিধায়কের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি জেলা সভাপতির।


প্রসঙ্গত, নিজেকে বিদ্রোহী বলে আগেই দাবি করেছিলেন। সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)।  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee) নির্দেশ দেওয়ার পরও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেছিলেন করিম। 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


এর আগে অভিষেকের জনসভায় ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন করিম (Uttar Dinajpur News)। সম্প্রতি ফের সংবাদমাধ্যমে  মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'অভিষেক হোক বা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই হোক, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ডাকলেও তো আমি যাব না।' বিদ্রোহ তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তারপর দলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম। এরপর তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালালের সঙ্গে তাঁর তিক্ততাও পৌঁছয় চরমে। 


গত ৩০ এপ্রিল ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় যাননি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী। 
২ মে ইটাহারে অভিষেকের সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দেননি। যা নিয়ে প্রশ্ন করায়, এদিন নিজেকে সরাসরি বিদ্রোহী ঘোষণা করে, বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ইসলামপুরের বিধায়ক। 


করিম তিনি সরাসরি নিশানা করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালালকে। দুর্গাপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে কেন গেলেন না, প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। জবাবে বলেছিলেন, 'আমি তো বিদ্রোহী এমএলএ না! একটা বিদ্রোহী বিধায়ক কেন চলে যাবে সাংগঠনিক মিটিংয়ে? আমি তো বিদ্রোহী।'অভিষেকের নির্দেশের পর কি করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কোনও ভাবে? প্রশ্নে উত্তরে বিধায়ক বলেছিলেন, 'না, না, কিছু করেনি। ও কোনও কথা তো বলেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ওকে তিনবার বলেছিল, যে কানাইয়া তুমি ওই ইসলামপুরটা করিমদাকে ছেড়ে দাও। ২০১৯, ২০২০তে, ২০২১-এ। কিন্তু ও শুনছেই না। মমতাদির কথাও শোনে না ও।'