সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা যাঁরা মেটান, এবার তাঁরাই জড়িয়ে পড়লেন ঝামেলায়। মোটরবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে পুলিশ (Police) এবং এক আইনজীবীর (Advocate) মধ্যে বেধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ আদালতের এক আইনজীবীকে গালিগালাজ করা ও ধাক্কা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর এমন ঘটনায় রায়গঞ্জ আদালতের সামনে মোহনবাটি এলাকায় নেতাজী সুভাষ রোডে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় দেখা দেয় ব্যাপক যানজট।


আরও পড়ুন - North Dinajpur News: সাইবার অপরাধ দমনে বিশেষ উদ্যোগ, ইসলামপুর পুলিশ জেলায় চালু হচ্ছে সাইবার ক্রাইম থানা


জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও কর্তব্যরত রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সোমবার দুপুরে ব্যস্ত যানজট সামলাচ্ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলরা। সেই সময় রায়গঞ্জ আদালতের শুভঙ্কর রায়চৌধুরী নামে এক আইনজীবী রাস্তার ধারে তাঁর মোটরবাইকটি রেখেছিলেন। তাঁকে রাস্তার ধার থেকে মোটরবাইকটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন এক মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। বাইক সরানোকে কেন্দ্র করে মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে বচসা বাধে ওই আইনজীবীর। অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ই নারায়ণ সরকার নামে আর এক ট্রাফিক কনস্টেবল এসে আইনজীবী শুভঙ্কর রায়চৌধুরীকে ধাক্কা মারেন এবং তাঁর কাছ থেকে পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেন। পুলিশের এমন আচরণের প্রতিবাদ করতে আদালত থেকে ঘটনাস্থলে আসেন অন্যান্য আইনজীবীরাও। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এবং দিনের ব্যস্ততম সময়ে যানজটে অবরুদ্ধ থাকে রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকার নেতাজী সুভাষ রোড। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেনসহ বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও পরবর্তীতে অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল নারায়ণ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। রায়গঞ্জ থানার আইসি এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।