সুদীপ চক্রবর্তী, সমীরণ পাল: রায়গঞ্জের প্রাইমারি স্কুল (Primary School) চত্বরে চটুল নাচ। টিচার ইনচার্জকে (Teacher Incharge) শোকজ করল জেলা শিক্ষা দফতর। যদিও বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন টিচার ইনচার্জ।
তারস্বরে গানের তালে উদ্দাম নাচ। তাও একেবারে স্কুল বিল্ডিংয়ের পাশে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও (Viral Video) দেখে, অনেকেই বলছেন এ তো শিক্ষাঙ্গনেই অপসংস্কৃতি। অবশেষে যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল প্রশাসন। রায়গঞ্জের স্কুলে চটুল নাচের আয়োজন নিয়ে, টিচার ইনচার্জকে শোকজ করল জেলা শিক্ষা দফতর।করোনা আবহে এখনও চালু হয়নি প্রাইমারি স্কুল। ১৩ নভেম্বর রাতে, উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জ লাগোয়া তাহেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় চটুল নাচের। মঞ্চ বাঁধা হয় স্কুল বিল্ডিংয়ের একেবারে দেওয়াল ঘেঁষে। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের জন্য ক্লাসরুমও ব্যবহার করা হয়।
সূত্রের খবর, স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু স্কুলের পাশে তা তী করে করা হল? কেন ক্লাসঘর ব্যবহার করতে দেওয়া হল? তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে অবেশেষে নড়েচড়ে বসল জেলা শিক্ষা দফতর। উত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপকচন্দ্র ভক্ত বলেন, প্রধান শিক্ষককে শকজ করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন টিচার ইনচার্জ। তাহেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ বিশ্বেশ্বর বর্মন বলেন, বিদ্যালয়ে এই ধরনের চটুল গানের আসরের কথা জানা নেই।
এদিকে স্কুল চত্বরে চটুল নাচ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। রায়গঞ্জের বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, এই রাজ্যে শিক্ষা নীতির অধঃপতন হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোকে নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে নাচের আসর বসিয়েছে। পাল্টা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, যারা এই আসর বসিয়েছে তারা বিজেপিরই লোকজন। কেননা হিন্দি গানের চটুল নাচ বা ছামিয়া নাচের সংস্কৃতি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সংস্কৃতি। বাংলার সংস্কৃতি রবীন্দ্র নজরুল।
অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার গোপালনগরে চটুল নাচের অনুষ্ঠান আয়োজন করার অভিযোগে, দুটি জায়গায় হানা দিয়ে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ নাবালিকাকে।