সুদীপ চক্রবর্তী, ডালখোলা (উত্তর দিনাজপুর) : রেলগেট এড়াতে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় তৈরি হয়েছে উড়ালপুল। তার একটি লেন গতকাল খুলে দেওয়া হল। এতদিন রেলগেট বারবার খোলা-বন্ধের জন্য  এই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনকে সমস্যায় পড়তে হত। এবার সেই সমস্যা কাটবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এটি তৈরি হতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছে। বিভিন্ন সময়ে জমি জট বা অন্য কারণে বারবার থমকেছে প্রকল্পের কাজ। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে রাজ্যের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার দ্বিতীয় লেন কবে খুলে দেওয়া হয়, সেটাই দেখার।  তবে উড়ালপুল তৈরিতে দেরি হওয়ায় শুরু হয়েছে তৃণমূল, বিজেপির চাপানউতোর।


ঠিক কী সমস্যা ছিল ?


৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে ডালখোলা রেল গেট। উত্তর দিনাজপুরের মিঠাপুর থেকে পূর্ণিয়া মোড়ের দূরত্ব মাত্র আড়াই কিলোমিটার। কিন্তু দিনে রাতে রেলগেট বন্ধ থাকে ৩০ থেকে ৩২ বার। এর জেরে বারবার থমকে যেত যান চলাচল। ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে সময় লাগত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের এই যন্ত্রণা থেকে এবার মুক্তি। 


ডালখোলায় রেল গেটকে পাশ কাটিয়ে তৈরি হয়েছে উড়ালপুল। তার ফলে মিঠাপুর থেকে উড়ালপুলে উঠে পুর্ণিয়া মোড় গিয়ে গাড়ি, বাস আবার জাতীয় সড়কে নামতে পারবে।  সোমবার সেই উড়ালপুলের একটি লেন খুলে দেওয়া হল যান চলাচলের জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাইপাস তৈরি হওয়ায় খুব উপকার হল। রোগীদেরও সুবিধা হবে।


সুরাহাতেও শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর!


যদিও এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল জানিয়েছেন, 'এই উড়ালপুল তৈরি হওয়ায় খুব উপকার হবে। যানজটে অনেক গাড়ি আটকে থাকত। বিজেপির সস্তার রাজনীতির জন্য দেরি হয়েছে।' পাল্টা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেছেন, 'অনেকবার তদ্বির করেছি। আর একটা লেন দ্রুত খুলে দেওয়া হবে। এটা সস্তার রাজনীতি নয়, সস্তার রাজনীতি তৃণমূলই করে।'


আরও পড়ুন- ভিক্ষুক পরিবারের তিনটি টাকা ভর্তি ট্যাঙ্কের খোঁজ, ভবিষ্যতের কথা ভেবে টাকা গুণে ব্যাঙ্কে দিলেন স্থানীয়রা