সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: গোয়ালপোখর গুলিকাণ্ডে (Goalpokhar Shootout) অবশেষে জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাজিস এহসান-সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করল গোয়ালপোখর থানার পুলিশ (Goalpokhar Police Station)। ধৃত দুইজনকেই শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে (Islampur Court) পেশ করা হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গোয়ালপোখরের মোদিনাচক গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে (TMC Inner Clash) উত্তাল হয়ে উঠেছিল। অভিযোগ গোয়ালপোখর ব্লকের জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাজিস এহসানের নেতৃত্ব বেশ কিছু গুন্ডাবাহিনী পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলের ভাইপো মহঃ আরিফকে গুলি করে খুন (Murder) করে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছিলেন আরও তিনজন। গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে (Private Hospital) ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান (Police raid) চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছিল।
ঘটনার মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান নাজিস এহসান অধরাই ছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাজিস এহসান ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকায় তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী মৃতের বাড়িতে পৌঁছে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। দ্রুত অভিযুক্ত নাজিস এহসানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গ্রেফতারি এড়াতে নাজিস চোপড়া থানার সোনাপুরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ একসপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার রাতে বিহার সীমান্তবর্তি এলাকা সোনাপুর থেকে নাজিস এহসান এবং রাজবাবু নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, রবীন্দ্রসদন স্টেশনে আগুন-আতঙ্ক, নিউ গড়িয়াগামী মেট্রোর রেকে ধোঁয়া
প্রসঙ্গত, একটা প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে। কিন্তু কী করে এই অস্ত্র জেলাগুলিতে আসছে ? কোথা থেকেই বা আসছে ? পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশ্নগুলি খোঁচা দিচ্ছে। যদিও এনিয়ে পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্যকেই দায়ী করেছে শাসকদলের হেভিওয়েট। গতবছর হরিদেবপুরকাণ্ডের পর ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।' চলতি মাসের মাঝামাঝিই আসানসোলে হোটেলে হাড়হিম করা শ্যুটআউটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মালিককে পরপর গুলি করা হয়। আসানসোলে পুলিশ লাইনের পাশেই রয়েছে ওই হোটেল। সেখানে ঢুকে মালিককে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হোটেলের লাউঞ্জে বসে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার সময় আচমকা পরপর গুলি করা হয়। শহরের বুকে অভিজাত হোটেলের মালিককে পরপর গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।