সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জের (Raiganj) ভয়াবহ আগুন। ভস্মীভূত প্রায় ১২ টি ঘর। শনিবার রাত দুটো নাগাদ উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার খাঁড়ি সরিয়াবাদ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের (fire brigade) দুটি ইঞ্জিন পৌঁছলেও ততক্ষণে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। ঘটনায়  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাঁড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের ছটি পরিবার।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা সামিরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। দ্রুত খবর দেওয়ায় রায়গঞ্জ দমকলবাহিনীকে। 


দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও তার আগেই গ্রামের ১২/১৩ টি ঘর আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরে থাকা ফসল, আসবাবপত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। দমকল সূত্রে খবর, ঘরে থাকা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে যায়। গভীর রাতে গ্রামের সকলেই ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় আগুন নেভাতে সময় লাগে। সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা। 


এই একইদিনে আরও একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় গোডাউনে ভয়াবহ আগুন। ঝলসে মৃত্যু হল এক কর্মীর। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গোডাউনে বেআইনিভাবে কেরোসিন, ডিজেল মজুত রাখা হত বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  কীভাবে আগুন লাগল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকল সূত্রে খবর। 


কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আকাশ। দাউদাউ করে জ্বলছে গোডাউন। পর পর বিস্ফোরণের শব্দ। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল এক জনের। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত গোডাউন।


রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ, এই গোডাউনে আগুন লাগে। সময় যত গড়াতে থাকে, ততই ভয়াবহ হতে থাকে আগুন। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোডাউনের মধ্যেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় রঞ্জিত বৈরাগ্য নামে এক কর্মীর। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গোডাউনে অবৈধ ভাবে কেরোসিন তেল মজুত করা হত এবং কেমিক্যাল দিয়ে ডিজেল বানিয়ে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হত।


মৃতের দাদা সুব্রত বৈরাগ্য জানিয়েছেন, আমার ভাই কাজ করত। বলত কেমিক্যাল দিয়ে ডিজেল বানায়। ভাই মারা গিয়েছে। ব্যবসা অবৈধভাবে হত।  কেরোসিন মজুত করত। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 
  
কৃষ্ণনগরের দমকল আধিকারিক হরলাল দাস জানিয়েছেন, 'কেরোসিন মজুত ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে তদন্ত দমকল আধিকারিক, করছি।' পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক গোডাউনের মালিক অমর সরকার।