দক্ষিণ দিনাজপুর: অবশেষে আশার আলো, রেল পরিষেবার স্বাদ পেতে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী? স্বাধীনতার পর থেকে রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। দূরে ভ্রমণই হোক বা অসুস্থ রোগীকে বাইরে নিয়ে যাওয়া। সব ক্ষেত্রেই বেগ পেতে হত স্থানীয়দের। বহুবার বহু রাজনৈতিক দল প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়িত হয়নি কিছুই। স্থানীয়রা বলছেন, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মিললেও জয়লাভের পর কেউ ফিরেও তাকাননি এ দিকে। ২০০৪ সালে  লালু প্রসাদ যাদব রেল মন্ত্রী থাকা কালীন প্রথম চালু হয় এক লাখি রেল। তখন থেকে শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চালু হয় রেল পরিষেবা।                            


এর পর আর কেউ ঘুড়েও তাকিয়ে দেখেনি কেউ। পরবর্তীতে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সাংসদ এ গেলে  একের পর এক রেল উপহার দেন জেলাবাসিকে। আজ জেলাবাসীর পাওনা বা চাহিদা পুরণের লক্ষে পিক লাইন ও সিক লাইন। শনিবার সকালে কাটিহার ডিভিশনের ডি আর এম শুভেন্দু কুমার উক্ত পিকলাইন ইঞ্জিন চালিয়ে লাইন পরিদর্শন করেন, দর্শন শেষে তিনি জানান যদি রেল মন্ত্রক নতুন ট্রেন দেয় তাহলে আগামী বছর থেকে দূর পাল্লার ট্রেন চালান সম্ভব হতে পারে।                                                  


সাধারণত বাংলা থেকে বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়ে থাকেন। তবে বালুরঘাট থেকে ভেলোরের কাটপাটি স্টেশন পর্যন্ত সেই অর্থে ট্রেন নেই। ফলে সেখনাকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। বহুবার একাধিক প্রকল্পের প্রস্তাবও দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি তাতে। গতবছর উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক রুটে নতুন রেল পরিষেবা চালুর পাশাপাশি একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। জানা গিয়েছিল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছেও তিনি একাধিক রেল প্রকল্পের বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন রেল পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়ে একটি দাবিপত্রও পেশ করেছিলেন তিনি। তবে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার কি শিকে ছিঁড়বে বিড়ালের ভাগ্যে? সেদিকেই তাকিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।                    


আরও পড়ুন: SFI Rally: 'শুধু রাম মন্দির নিয়ে মন্তব্য', দীপ্সিতার ভাষণ চলাকালীন আপত্তি যুবকের, বিশৃঙ্খলা রামপুরহাটে !