নয়াদিল্লি: নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযোগে গ্রেফতার যুবককে জামিন দিল বম্বে হইকোর্ট। শুধু তাই নয়, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে আদালত জানাল, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ভালবাসা এগোয় শারীরিক সম্পর্কে, তার মধ্যে লালসা ছিল না। আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। (Bombay High Court) আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কেউ কেউ একমত, কেউ কেউ আবার জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।


ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্ট


২৬ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।  বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময় বিচারপতি ঊর্মিলা জোশী-ফালকে জানান, মেয়েটি নাবালিকা হলেও, পুলিশকে সে জানিয়েছে, স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছিল সে। নিজের ইচ্ছেতেই অভিযুক্তের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল। অর্থাৎ কেউ তাকে জোর করেনি। 


শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বয়সও এমন কিছু না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি জোশী ফালকে। তিনি বলেন, “অভিযুক্তের বয়সও সংবেদনশীল। মাত্র ২৬ বছর বয়স। প্রেমের সম্পর্কই পরস্পরের কাছে এনে ফেলে দু’জনকে। দুই অল্পবয়সি ছেলেমেয়ের ভালবাসাই শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। যৌন নির্যাতন বা লালসা নেই এখানে।”  অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন) মামলা-সহ আরও একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। (POCSO Case)


আরও পড়ুন: Anurag In Kolkata: 'দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার', নিশানা অনুরাগ ঠাকুরের


২০২০ সালের অগাস্ট মাসে মেয়েটির বাবা একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ে নিখোঁজ বলে ডায়েরি করেন তিনি। জানান, বই কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়েটি। তার পর আর ফেরেনি। এর পর মেয়েটিকে খুঁজে বের করে পুলিশ, তাতে মেয়েটি জানায়, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে সে। অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে সে। কী কারণে ঘর ছাড়ে, কী নিয়ে ঘর ছাড়ে, তাও পুলিশকে জানায় মেয়েটি। 


আদালতের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে


অভিযুক্ত তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানায় মেয়েটি। মেয়েটি জানায়, বিয়ের জন্যই বাড়ি থেকে নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্ত যুবকের জামিন মঞ্জুর করেছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি জোশী ফালকে জানান, মেয়েটি অবশ্যই নাবালিকা। তার সম্মতি এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু হলফনামায় অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়েছে মেয়েটি। জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বা জোর করে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বলে কোথাও উল্লেখ করেনি। অর্থাৎ দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।