কলকাতা: শুধু গরু পাচার মামলাই (cattle smuggling case) নয়, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেও (recruitment scam) জড়িয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নাম। অভিযোগ উঠেছিল, টেট (TET) ফেল করেও বাড়ির কাছে প্রাইমারি স্কুলে (primary school) চাকরি পান অনুব্রত-কন্যা। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর, একদিনও স্কুল যাননি! বাড়িতেই পৌঁছে যেত হাজিরার খাতা! 


নিয়োগ-বিতর্কে সুকন্যা-যোগ!


গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। বর্তমানে তিনি দিল্লিরই তিহাড় জেলে বন্দি। এবার সেই দিল্লিতেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়াকে গ্রেফতার করল ইডি। তবে গরু পাচার মামলার পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেও জড়িয়েছিল সুকন্য়ার নাম। কয়েক বছর আগে, বোলপুরের কালিকাপুরে বাড়ির অদূরে এই প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা পদে যোগ দেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল।


অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর, একদিনও স্কুল যাননি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে। তাঁর বাড়িতে রোজ পাঠিয়ে দেওয়া হত হাজিরার খাতা, তিনি বাড়িতে বসেই স্কুলের রেজিস্টারে সই করতেন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতে হাজিরাও দেন অনুব্রতর মেয়ে। 


মেয়ের চাকরি ঘিরে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও। এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুও। সুকন্যা মণ্ডলের মেয়ের চাকরি পাওয়া নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি জানি না, বলতে পারব না।' এবার গরু পাচার মামলায় সেই সুকন্য়া মণ্ডলকে দিল্লিতে গ্রেফতার করল ইডি।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: কোটি কোটি ঢুকেছে পরিবারে, বার বার কোন মন্ত্রে লটারি জেতেন অনুব্রত-সুকন্যা!


অন্যদিকে, স্ক্যানারে রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তিও। কোটি কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে (bank account) জমা পড়েছে! অথচ হিসাব নেই! জমি (land) কেনা হয়েছে অনেক। কিন্তু, সে সম্পর্কেও সঠিক তথ্য নেই। এমনই সব গুরুতর অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গ্রেফতার করে ইডি। সূত্রের দাবি, গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে তথ্য এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা। তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাই সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর, ২ বার, ED-র হাজিরা এড়ান অনুব্রত কন্য়া সুকন্য়া মণ্ডল। ED সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্য়দের বিভিন্ন অ্য়াকাউন্টে, বিভিন্ন সময়ে মোট ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০২০, এই ৫ বছরে বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ২০ কোটি নগদ টাকা।