কলকাতা: এখনও শনাক্ত করা যায়নি বহু মানুষকে। তবে বাংলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২ জন মারা গিয়েছেন। তার তালিকা হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, এখনও ১৮২ জনকে শনাক্ত করা যায়নি। জেলায় জেলায় ছবি পাঠানো হয়েছে, শনাক্তকরণের জন্য (Odisha Train Accident)।


শনিবার নিজে বালেশ্বর পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও যান। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে বলেন, "লাগাতার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি আমরা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে। প্রিয়জনকে খুঁজে পাচ্ছে না অনেক পরিবার।"


তবে এত তাড়াতাড়ি হতাহত নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলেও জানান মমতা। তাঁর যুক্তি, দু'টি ট্রেনে সংরক্ষিত আসনে প্রচুর যাত্রী তো ছিলেনই, অসংরক্ষিত কামরাতেও প্রচুর লোকজন ছিলেন। সকলের নামের তালিকা থাকে না রেলের কাছে। সেই তালিকা এখনও রাজ্য সরকারের হাতেও এসে পৌঁছয়নি। তাই হতাহত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সকলে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দুর্ঘটনায় আহত হননি, কিন্তু ট্রমায় রয়েছেন, তাঁদের জন্যও আর্থিক সাহায্য়ের ঘোষণা মমতার


বালেশ্বর থেকে এনে এখনও পর্যন্ত ২০৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মমতা। ওড়িশায় এখনও রয়েছেব ৭৩ জন আহত। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ৫৬ জন। কিন্তু ১৮২ জনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি বলেই বাড়ছে উদ্বেগ। রাজ্য সরকারের হাতে বাংলা থেকে নিহত বলে ৬২ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। কিন্তু যাঁদের শনাক্ত করা যায়নি, তাঁদের মধ্যে বাংলার কারও থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


মমতা জানিয়েছেন, বালেশ্বরের পরিস্থিতির দিকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে বাংলার সরকার। খড়্গপুর, সাঁতরাগাছি, হাওড়া এবং নবান্ন থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। আইএএস অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে সীমানা অঞ্চলে। খড়্গপুর, মেদিনীপুর এবং ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি করছেন তাঁরা। ওড়িশা থেকে ইতিমধ্যে ৭০০-৮০০ জনকে বাংলায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান মমতা। 


এর আগে, শনিবার মৃতের সংখ্যা নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মমতার। এ দিনও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। যেখানে এখনও বহু দেহ শনাক্ত করা যায়নি, অনেকের খোঁজ পর্যন্ত মেলেনি এখনও, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের তালিকায় হতাহত কী করে কমছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।