সুমন ঘড়াই, হাওড়া : রাজ্য সরকার আর DA বাড়াতে পারবে না বলে, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। কিন্তু বকেয়া DA দিতেই হবে, এই দাবিতে, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালন করলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে আরও কড়া হল নবান্ন। একবার নয়, শুক্রবার সরকারি কর্মীদের হাজিরা ৪ বার খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


 কর্মীদের হাজিরার নথি


শুক্রবার সকালে এই সার্কুলার জারি করেছে নবান্ন। যেখানে সমস্ত জেলার DM ও সব দফতরের বিভাগীয় প্রধানদের পৌনে ১১টা, বেলা ১২টা, দুপুর দেড়টা ও বিকেল ৫টায় কর্মীদের হাজিরার নথি তৈরি করতে বলা হয়েছে। যে কর্মীরা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ ঠিক কী, তাও সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে


 এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করা হয়। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় এবারও পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেইসঙ্গে শোকজ করা হবে। একই মর্মে কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পুরসভাও।  


কিন্তু সকাল থেকেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে কম উপস্থিতি  চোখে পড়েছে। খাদ্য ভবন থেকে রাইটার্স বিল্ডিং, পুরসভা থেকে বিকাশ ভবন, সর্বত্রই কম উপস্থিতি।  অন্যদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 

১৫ ফেব্রুয়ারি, বাজেট পেশের দিন রাজ্য সরকার, আরও ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধির ঘোষণার পর, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশ। ওই বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন, শুক্রবার ৪৩ দিনে পড়ল। অনশন কর্মসূচি পড়ল ২৯ দিনে। বকেয়া DA মেটানোর দাবিতে শুক্রবার সব সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বামপন্থী সংগঠন কোঅর্ডিনেশন কমিটি। সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। আর এদিনই শিক্ষায় দুর্নীতি, রাজ্যের একাধিক স্কুল বন্ধের এবং ছাত্র সংসদ ভোট ও আনিসকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI।