তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: সোনামুখী (Sonamukhi) শহরের তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি। খোয়া গেল আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার গয়না। বাঁকুড়া জেলার (Bankura District) প্রাচীন পুর শহর সোনামুখী। কালীপুজোকে (Kali Puja 2022) কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী মেতে উঠেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনামুখী পুর শহরের তিনটি জায়গায় তিনটি কালীমন্দিরে (Kali Temple) দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনটি মন্দির মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার গয়না।
তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি: জানা গিয়েছে, সোনামুখী পুরসভার (Sonamukhi Municipality) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চামুণ্ডা কালীতলা এলাকায় চট্টোপাধ্যায় পরিবারের চামুন্ডা কালী মন্দির। অন্যদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ায় চৌধুরী পরিবারের কালী মন্দির। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণবাজার এলাকায় বারোয়ারি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে শহরের তিন জায়গায় পরপর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
একই মন্দিরে তিনটি কালী মূর্তি: এদিকে একই মন্দিরে তিন-তিনটি কালী মূর্তি বীরভূমে (Birbhum)। বিসর্জনের দিন মায়ের পায়ে দেওয়া আলতা, সিঁদুরে নিজেদের রাঙিয়ে নেন গ্রামবাসীরা। বীরভূমের লাভপুরের দোনাইপুরে কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি। মা কালীর তিন বোন। কেউ বড়মা, কেউ ট্যাবা কালী, কেউ আবার বিশ্বেশ্বরী রূপে পূজিত হন। এভাবেই বীরভূমের লাভপুরের দোনাইপুর গ্রামে একই মন্দিরে তিন কালীর পুজো হয়। মাঝখানে প্রায় ২৬ ফুট উঁচু কালীমূর্তি, তিনি পরিচিত বড়মা হিসেবে। তাঁর বাঁ পাশে ট্যাবা কালী। আর ডান দিকে মা বিশ্বেশ্বরী। দু’জনের উচ্চতা ১২ ফুট। কথিত আছে, প্রায় আড়াইশো বছর আগে গ্রামের জমিদার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাত ধরে কালীপুজোর সূচনা হয়।
বর্তমানে পুজোর দায়িত্ব চক্রবর্তী পরিবারের হাতে। জনশ্রুতি, যাঁর হাত ধরে পুজো শুরু, তিনি দেখতে পেতেন না। দেবীর এমনই মাহাত্ম্য যে, কালীপুজোর দিন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতেন ওই পূজারী। ধীরে ধীরে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে সেই কাহিনি। এখানে কালীপুজো চলে একসপ্তাহ ধরে। বিসর্জনের দিন মায়ের পায়ে দেওয়া আলতা, সিঁদুরে নিজেদের রাঙিয়ে নেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: Howrah News: হাওড়ার টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে বোমাতঙ্ক, ব্যাহত ট্রেন চলাচল