ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ঋণ মঞ্জুর (Loan) না হওয়ায় আলিপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) উল্টোদিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এটিএমের (ATM) সামনে হাজির হয় এক যুবক। সেইসময় ফুটপাথের দোকানে রান্না চলছিল।


অভিযোগ, জ্বলন্ত উনুন থেকে শিক খুলে নিয়ে এটিএম ভাঙার চেষ্টা করে ওই দুষ্কৃতী। স্থানীয়রাই আলিপুর থানায় (Alipor Police Station) খবর দেন। ধৃত আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা (Amherst Street Police Station) এলাকার বৈঠকখানা বাজারের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ঋণের (Loan) আবেদন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দেওয়ায় এটিএম লুঠের চেষ্টা। ধৃতের দাবি খতিয়ে দেখছে আলিপুর থানার (Alipor Police Station) পুলিশ।


চলতি বছর বর্ধমান শহরে দিনে দুপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রাহকদের অভিযোগ, সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কার্জন গেট শাখায় হানা দেয় ডাকাতরা। মাস্কে মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে পড়ে। কর্মীদের মারধর করে ব্যাগে টাকা ভরে তারা চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অপারেশন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।


অন্যদিকে, দোলের দিন কয়েকটি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে গন্ডগোল, তার জেরে মহিলাদের মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁ। অভিযোগ, শুক্রবার বনগাঁর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। থানায় নালিশ জানাতে গিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। এরপর থানার বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। বাইরের বিক্ষোভ একসময় পৌঁছে যায় থানার ভিতরেও। বনগাঁর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে  এই সমস্যা সামাল দিতে পুলিশ রীতিমতো  হিমশিম খায়। তবেএখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে এলাকা বেশ থমথমে।