সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতি কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে, বন্দুক দেখিয়ে বেপরোয়া লুঠতরাজ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম অজয় যাদব(৩৫)। ঝাড়খণ্ডের তিলিত থানা এলাকায় বাড়ি। তাকে আজ পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া (Purulia) শহরের নামোপাড়া এলাকায় ১টি সোনার বিপণিতে ৭ জনের দুষ্কৃতী দল লুঠপাট চালায়। যাবার আগে বিপণির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ঘটনায় প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনার ও হিরের সামগ্রী লুট করে। এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে দিল্লি থেকে ১ জন ও পরে বিহার থেকে ১জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গতকাল অজয় যাদবকে গ্রেফতার করে। আদলতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরুলিয়ায় এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছিল জেলে বসে। রীতিমতো রেকে করে পুরুলিয়ে শহরের এই নামি গয়নার বিপণিতে লুঠ হয়। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরুলিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে মিলিত হয় ডাকাতরা। সেখান থেকেই ২৯ অগাস্ট, দুপুরে তারা পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় গয়নার শোরুমে হানা দেয়। ৯ দিন আগে ২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়ায় রেকি শুরু করে ডাকাতরা। এরপর ফাইনাল অপারেশনের দিন প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা, হিরের গহনা এবং শোরুমের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দেয় ৭ জনের ডাকাতদল। এই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে বিকাশ কুমার নামে এক দুষকৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর করমজিৎ সিং সিধু নামে আরও এক ডাকাতকে ঝাড়খণ্ডের সুদামডি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই।
২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়া শহরে টানা রেকি করে ডাকাত দল। ২৯ অগাস্ট ওই শোরুমের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা ও হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শোরুমের সিসিটিভির হার্ডডিস্কও নিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্পেনে বাংলার জয়গান মমতার, রাজ্যকে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে উল্লেখ