নয়া দিল্লি: নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই মেয়াদকালেই এবার চালু হতে পারে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, মোদি সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই এই নীতি কার্যকর হবে। বাস্তবায়িত করতে একাধিক সংস্কারমূলক কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান হয়েছে।
যদিও এই নীতি নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা। এই নীতি কার্যকর হলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপরে আঘাত হানবে বলেও মনে করেছিল বিরোধী দলগুলি।
একই সঙ্গে সারা দেশে নির্বাচন করা যায় কী না, তা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কমিটি নতুন ওই ব্যবস্থা ২০২৯ সাল থেকে কার্যকর করার পক্ষে মত দিয়ে প্রায় ১৮ হাজার পাতার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। ভারতের লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন একই সঙ্গে করার যে প্রস্তাব জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও।
‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকরের পেছনে যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়া ও অহেতুক খরচ বৃদ্ধি। ওই প্রতিবেদনে এও জানান হয়েছে, যতবার ভোট হয়, ততবার আদর্শ আচরণবিধি জারি করা হয়। তাতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। খরচও বেড়ে যায়। প্রকল্পগুলো দীর্ঘসূত্রতায় ভোগে। একসঙ্গে ভোট হলে এমনটি হবে না।
এদিকে সারা দেশে একসঙ্গে ভোট করাতে গেলে যে সংবিধানে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন করাতে হবে, সেকথাও বলেছে মি. কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। সরকার বিরোধীদের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধীরে ধীরে ‘ওয়েস্টমিনস্টার মডেল’ থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল’ ব্যবস্থা চালু করতে চাইছেন। এর ফলে এত বছর ধরে চলে আসা যুক্তরাজ্যীয় কাঠামো উঠিয়ে দেওয়া যাবে। সংসদীয় ব্যবস্থাও শাসক দলের ইচ্ছেমতো করে গড়ে তোলা যাবে।
নীতি আয়োগ, নির্বাচন কমিশন ও আইন কমিশনও সময়ে সময়ে এই নীতির পক্ষে মত দিয়েছে।
ভারতের সংবিধানে লোকসভা, রাজ্যসভা এবং রাজ্যগুলির বিধানসভার পৃথক মর্যাদা রয়েছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলির অধিকার এবং দায়িত্বও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। একসঙ্গে সারা দেশে ভোট হলে সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরেই আঘাত আসবে বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে