কলকাতা : ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অ্যাকশনের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরই  বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধ্বংস হয়ে গেল জইশ ঘাঁটি। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এসেছিল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার 'অপারেশন সিন্দুর' নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, 'জয় হিন্দ, জয় ইন্ডিয়া'।  

অভিষেকের প্রতিক্রিয়া 

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভারতীয় সেনার অ্যাকশনকে কুর্নিশ জানালেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পেজ টিকে ট্যাগ করে তিনি লিখলেন, এই শক্তিশালী ভাবমূর্তিই, দেশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার বহিরাগত প্রচেষ্টার মুখে ভারতের ঐক্যকে পুনরায় নিশ্চিত করে। আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের অতুলনীয় সাহসিকতা এবং অসাধারণ বীরত্বের জন্য স্যালুট জানাই, যারা নির্ভুলতা, সংযম এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে  আক্রমণ করেছে! ভারত সন্ত্রাসবাদকে খতম করেছে। '

দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও রাজনীতি নয়, বরং পহেলগাঁও নিয়ে তৃণমূল রয়েছে কেন্দ্রের পাশেই, বারবার  স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে পহেলগাঁও -হত্যালীলার পর রাজধানী দিল্লিতে সর্বদলকেই বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে তৃণমূলের তরফে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও জানান, কেন্দ্র এ বিষয়ে যাই সিদ্ধান্ত নিক না কেন, তৃণমূলের সায় থাকবে। দলনেত্রীও পরিষ্কার করে দেন, এ নিয়ে রাজনীতি করতে চায় না তৃণমূল। পাশে থাকার বার্তা দিলেও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে বিরোধীদের কেউ কেউ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভেবে পাচ্ছি না, এত ক্ষণ ধরে বেছে বেছে মারল!...ওখানে তো অনেক আর্মি ছিল। ...তবে তারপর মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে পাশে  থাকারই বার্তাই দিয়েছেন।                        

 অন্যান্যদের প্রতিক্রিয়া  

‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’, এক্স হ‍্যান্ডলে পোস্ট করেছে ভারতীয় সেনা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও পোস্ট করা হয়েছে, ‘কোনও পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়নি। টার্গেট স্থির এবং স্ট্রাইকের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা’। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও।