কলকাতা : ' এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ। মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান। ' অন্যের শরীরে বেঁচে থাকবে স্বামীর অঙ্গ। বেঁচে থাকবে স্মৃতি। শহরে ফের অঙ্গদানের নজির! একের অঙ্গে স্বাভাবিক জীবন পেতে চলেছেন একাধিক মানুষ।


অন্য কাউকে বাঁচানো তো যাবে., এটুকু ভেবেই ৪৯ বছরের সঞ্জীব কুমার তাঁতিয়ার স্ত্রী স্থির করেন, স্বামীর শরীরের যে অঙ্গগুলি অন্যের কাজে লাগানো সম্ভব হলে তা দান করে দেওয়া হবে। তাতে মানুষটা রয়ে যাবেন অনেকের মধ্যে। 


কীভাবে মৃত্যু
গত ১২ মার্চ পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সঞ্জীব কুমার তাঁতিয়াকে। অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। অবশেষ ১৪ মার্চ চিকিৎসকরা তাঁকে ব্রেন-ডেথ ঘোষণা করে । তারপরই তাঁর স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, স্বামীর অঙ্গদান করবেন। তাতে নতুন জীবন পাবেন আরও অনেকে।               

 কোন কোন অঙ্গ প্রতিস্থাপন হবে
মৃত সঞ্জীবের শরীর থেকে লিভার, দুই  কিডনি, হার্ট ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। তাঁর লিভার পাচ্ছেন মণিপুরের বাসিন্দা ৫৮ বছরের এক মহিলা। হার্ট প্রতিস্থাপন হবে আর এন টেগোর হাসপাতালে। একটি কিডনি পাবেন অ্যাপোলোতেই ভর্তি হওয়া এক রোগী। অন্যটি পোঁছয় কম্যান্ড হাসপাতালে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে একটি কিডনি কোনও কারণে প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। তবে বাকি অঙ্গ প্রতিস্থাপন সফল হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কর্নিয়া পাঠানো হয়েছে দিশা আই হসপিয়ালে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসে এটাই প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপন। 


চলে গিয়েছেন সঞ্জীব তাঁতিয়া। কিন্তু তাঁর অঙ্গে সুস্থ হয়ে উঠুন বাকিরা, চান তাঁর স্ত্রী। আর নতুন অঙ্গ পেয়ে নতুন করে বাঁচার আশার আলো দেখছে অনেকগুলি পরিবার।       


 


আরও পড়ুন :


 ' আমাকে চড় মারুন ' , 'চাপের সময়ে' ফের নিজের উপর বাজি ধরলেন মমতা

এই বছরের জানুয়ারি মাসে সোনারপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডায়জেসটিভ সায়ন্সেসে সফল লিভার প্রতিস্থাপন হয়। লাটাগুড়ির ২ বন্ধুকে সুস্থ করে ঘরে ফেরায় হাসপাতাল। দু'জনের শরীরেই বাসা বেঁধেছিল একই রোগ- সিরোসিস অফ লিভার। 
চেন্নাইয়ের চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন প্রতিস্থাপন না করলেই নয় । অবশেষে তা সম্ভব করে দেখায় কলকাতার হাসপাতাল।