আশিস বাগচি, মুর্শিদাবাদ: তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ঘিরে তুলকালাম মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। মূলত টুকলিতে বাধা দেওয়ায়, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের শেখপাড়া জিডি কলেজে ভাঙচুর চালাল পরীক্ষার্থীরা বলে অভিযোগ।


বিএ তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় (BA Exam) এই কলেজে সিট পড়ে ডোমকলের বসন্তপুর কলেজের ছাত্রদের। পরীক্ষায় কড়া নজরদারি করার অভিযোগ তুলে কলেজে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় পরীক্ষার্থীরা। ইটবৃষ্টি শুরু হয়। লাঠিসোটা নিয়ে কলেজে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে কলেজের গেটের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে যায় রানিনগর থানার পুলিশ ও র‍্যাফ। লাঠি উঁচিয়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।


প্রসঙ্গত, রাজ্যের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলিতে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে গত কয়েকবছর ধরে। স্কুল-কলেজের প্রতিটি পরীক্ষা নিয়েই এখন রীতিমত কড়া রাজ্য। কারণ বোর্ডের পরীক্ষাগুলিতে টুকলির অভিযোগ যাতে বারবার ফিরে না আসে, সেজন্য আগের থেকে কড়া গার্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষার্থী বদল না হয়, সেজন্য ছবিও ভাল করে মিলিয়ে দেখা হয়।


বিশেষ করে রাজ্য়ের চাকরির পরীক্ষাগুলিতে আরও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেরবার শাসকদল। একেরপর এক ভয়াবহ অভিযোগ উঠে আসছে। বিশেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই এই মামলায় গতি এসেছে। রাজ্যের খোদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের চাকরি গিয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে। তবে এখানেই শেষ নয় সদ্য গ্রুপ সি-র ওএমআর বিকৃতিকাণ্ডে অসংখ্য জনের চাকরি গিয়েছে। আর সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাও পর্যন্ত।


আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শহরের তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠাল ইডি


অপরদিকে, সদ্য ৩ হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির ছবি। ৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর দেদার বাড়ানো হয়েছে। কতজন পরীক্ষার্থীর কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ কমিশনের। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।'