পার্থপ্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের (Bhangar) বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে মেলার মাঠ। মনোনয়ন পর্বে এই মেলার মাঠই হয়ে উঠেছিল দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পায়নি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দেওয়ালে গুলির দাগ, জানলার কাচ ভাঙা। ধাক্কা সামলাতে ২ দিন বন্ধ রাখতে হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আজ সকাল থেকে রোগীরা এসে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু তালা খোলা যাচ্ছে না। মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে তাণ্ডব শুরু মাত্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তালা দিয়ে চলে যাই, দাবি স্বাস্থ্য কর্মীর। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্য়ের বেহাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই তার ছাপ স্পষ্ট। দেওয়ালে গুলির দাগ স্পষ্ট। ২ দিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে তালাই খুলতে পারলেন না কর্মীরা। স্থানীয়দের চোখেমুখে এখনও স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ।
মনোনয়ন (Nomination Filing) জমা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্য় যে মোটেও ভাল ছিল না, তা এই ছবিগুলি থেকেই স্পষ্ট। হাতে বাঁশ, লাঠি। মুখে কখনও কাপড়, কখনও মুখোশ, হাতে বোমা আর ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার স্বাস্থ্য়ের এই বেহাল অবস্থার ছাপ পড়েছে মেলার মাঠের পাশের স্বাস্থ্য়কেন্দ্রেও !
মঙ্গলবার যেখানে ভয়ঙ্কর বোমাবাজি হয়। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ার পাশাপাশি চলে গুলিও। মাঠের ঠিক লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেওয়ালে গিয়ে লাগে গুলি। এরপর, বুধবার, সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সকাল ১১ টা। মাত্র আধ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। কর্মীদের দাবি, এরপরই 'ওপরমহলের' নির্দেশে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
২ দিন বন্ধ থাকার পর, শনিবার তালা খুলতে যান কর্মীরা। কিন্তু সেই তালা খোলা যায়নি। কারণ, অশান্তির দিন, তালা ভেঙে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তালা না খোলা গেলেও আটকে যায় লক। রাজায় রাজায় লড়াইয়ের জেরে বিপাকে উলুখাগড়ারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘক্ষণ বসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় রোগীদের। এখনও তাঁদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এই গোলাগুলি-বোমাবাজি কবে বন্ধ হবে? কবে নিশ্চিন্তে মানুষ ঘর থেকে বেরোবে? আরোগ্য় নিকেতনের দেওয়ালে গুলির ক্ষত কবে মুছবে?
আরও পড়ুন- মালদায় তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত কংগ্রেস, একসপ্তাহে রাজ্যে ভোটের বলি ৬