কলকাতা: মক্কা থেকে কীভাবে মনোনয়ন? তদন্তে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে সিআইডি (CID)। মক্কা থেকে মিনাখাঁর কুমারজোল পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা মোহারউদ্দিন গাজির। বিদেশ থেকে কীভাবে মনোনয়ন, হাইকোর্টে মামলা করে আইএসএফ। সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশেই মিনাখাঁ বিডিও অফিসে তদন্তে সিআইডি। বিডিও শেখ কামরুল ইসলামকে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ। 


মিনাখাঁ বিডিও অফিসে সিআইডি: সৌদি আরবের মক্কায় বসে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মনোনয়ন। এসে গেছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ও। কিন্তু, অভিযোগ সামনে আসতেই বাতিল হয় কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মোহারুদ্দিন গাজির মনোনয়ন। রাজ্য় রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেও দেওয়া এই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই, থানায় অভিযোগ করেন মিনাখাঁর বিডিও। তার ভিত্তিতে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এর মধ্যেই, সোমবার CID-র চার সদস্যের টিম পৌঁছয় মিনাখাঁর বিডিও অফিসে। বিডিও শেখ কামরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন নথি-পত্র।


ইতিমধ্যেই এই মনোনয়ন বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মক্কা থেকে মিনাখাঁয় মনোনয়ন দাখিলকারী মোহারুদ্দিন গাজি। তাঁর দাবি, প্রস্তাবক ফর্ম জমা দিতে পারেন এমন নিয়মের কথা জানতেন তিনি। তাই ফর্মে সই করে দলীয় কর্মীদের হাতে দিয়ে হজে গিয়েছিলেন।  মোহারুদ্দিন গাজি বলেন, “এটা একটা মানুষের ভুল ধারনা। কিছু কিছু মানুষ ভুল ভাবাচ্ছে। গ্রামে সবাই বসা হল। আমি মানুষের পাশে দাঁড়াই বলে মানুষ আমার নাম প্রস্তাব করে। আমাদের হজের ডেট হয়। আমার সাথীরা যাঁরা ছিলেন তাঁদের দায়িত্ব দিলাম। ৫ বছর আগে যে নির্বাচন হয়েছিল একটা ফর্ম ছিল সই করে দিয়ে যাই। একটা গাইডলাইন আমার জানা ছিল যে কোনও প্রস্তাবক এই ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিতে পারেন। আমি তাই ফর্মে সই করে দিয়ে যাই। এ জন্য় আইন আছে। কেউ গিয়ে প্রতিবাদ করেছে। আইনে যা হবে আমি মেনে নিতে বাধ্য়। আইনের প্রতি আমার ভরসা আছে।’’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Shankar Ghosh: 'যেদিন পাল্টা শুরু হবে, অভিষেক দুবাই পালাবেন' পাল্টা হুঙ্কার শঙ্কর ঘোষের