কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই সরব বিরোধীরা। তার উপর আজ মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে দিনভর অশান্তি চলেছে। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নিশানায় শুভেন্দু ও অধীর।
কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী এবং অধীর চৌধুরী, এদের আঁতাঁতটা ক্রমশ সামনাসামনি চলে আসছে। এদের হাল একদম একরকম।লোক নেই, প্রার্থী নেই। নের্তৃত্বকে কেউ মানে না।অথচ তাঁদের নেতা সাজতে হবে। জুলাই মাসে তো ভোটটা হওয়ার কথাই , ন্যাকাষষ্ঠী নাকি ! আমি রাজনীতি করি, আমি পঞ্চায়েত ভোট করব, আমি জানি না..মুখ রক্ষার জন্য এরা জটিলতা তৈরি করবেই।'
প্রসঙ্গত, গতকাল পুরভোট এবং পঞ্চায়েত ভোটে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং বিধানসভা নির্বাচনে , কেন্দ্রীয় নির্বাচনের ভূমিকার উদাহরণ টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, 'ত্রিপুরায় যখন হচ্ছে, এখানে ব্যতিক্রম হবে কেন ?' কুণালের সংযোজন, '..কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন আসবে না ? এটা যেনও মামার বাড়ির আবদার', অপরদিকে, এদিন শান্তনু সেন বলেন, 'যে স্টুডেন্ট সারাবছর পড়াশোনা করে, সেই স্টুডেন্টকে ভাবতে হয় না, যে পরীক্ষার তারিখ কবে ঘোষণা করা হবে। বা সেই স্টুডেন্টকে ভাবতে হয় না আমি পরীক্ষায় পাশ করব না ফেল করব ?'
আজ থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই দিকে দিকে অশান্তি। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না পেতেই এদিন রাস্তায় বসে বিক্ষোভ বিজেপি সাংসদের। বাঁকুড়ার ইন্দাসের রাস্তায় বসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। এদিন মনোনয়নের সময় গন্ডোগোল করলে, কী পরিণতি হবে, তা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আগে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেছেন ৩৮ হাজার লোকের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে। ২০ হাজার লোক টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি। পঞ্চায়েত ভোট হবে, যখন নেতারা প্রচারে আসবে, তখন নেতাদের কলার চেপে ধরুন। যারা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি, ঘর দেয়নি, তাঁদের ধরুন, আর আম গাছে, কাঁঠাল গাছে বেঁধে রাখুন। বাকিটা আমরা দেখে নেব। দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার। পঞ্চায়েত ভোটের নোমিনেশন করতে গেলে কেউ যদি গন্ডোগোল করতে আসেন তবে হাসপাতালের সিটগুলিও খালি করে রাখুন, কে যাবে কেউ জানে না।'