কোচবিহার: কোচবিহারে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। ভোটের দিন বোমাবাজি, পরের দিন আহত তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের দিন বোমাবাজি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলিগুড়ি আনার সময় মৃত্যু। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সংঘর্ষে মৃত্যু, পাল্টা দাবি বিজেপির। ভোটের দিন সংঘর্ষ, ৯ জুলাই শিলিগুড়িতে আনার সময় মৃত্যু। 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে মনোনয়ন পর্ব থেকেই হিংসার ছবি গোটা বাংলা জুড়ে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। শুধু বিরোধী নয়, শাসক দলের কর্মীদেরও প্রাণ হারাতে হয়েছে এই হিংসার বলি হয়ে। এদিকে, বাংলায় বেলাগাম সন্ত্রাস, প্রাণ বাঁচাতে অসমে আশ্রয়! ৫দিন পরে অসম থেকে ফেরাল কোচবিহার পুলিশ। ভোটের পর থেকেই অবাধে সন্ত্রাস, অসমে আশ্রয়! তুফানগঞ্জের বালাভূত থেকে অসমের রানপাগলি গ্রামে আশ্রয়। জয়ী বিজেপি প্রার্থী-সহ ২৫০জনেরও বেশি পালিয়ে গিয়েছিলেন অসমে। সুরক্ষার আশ্বাস দিয়ে ঘরছাড়াদের ফেরাল কোচবিহার পুলিশ। 


এদিকে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বেলাগাম সন্ত্রাস, এবার 'সক্রিয়' বিএসএফ। ভোট পরবর্তী হিংসা খবর সরাসরি জানানোর আবেদন বিএসএফের। সব জেলায় জওয়ান আছে, খবর পেলেই যাওয়ার আশ্বাস বিএসএফের। শীঘ্রই জেলা ভিত্তিক নোডাল অফিসারের তালিকা দেওয়ার ঘোষণা। আজই রাজভবনে গিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে নালিশ বিএসএফের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ বিরোধীদের
রাজভবনে বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিয়েছে বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে। 


উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্য প্রান্তে ভাঙড়ে ফের বিস্ফোরণ হয়েছে। ঝলসে আহত অন্তত ১০। বোমা বাঁধতে গিয়ে চালতাবেড়িয়ায় বিস্ফোরণ, অন্তত ১০জন আহত। বিস্ফোরণে আহতরা আইএসএফ কর্মী, দাবি স্থানীয় সূত্রে। আহতদের কলকাতায় আনার সময় বাসন্তী হাইওয়েতে আটক। বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলায় আহতদের আটকাল পুলিশ।  প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্যা বহু। তার উপর বোমা বাধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু, তেইশসালের অন্যতম মর্মান্তিক ইস্যু। কারণ শুধুই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ, মনোনয়ন পেশ কিংবা গণনার সময়েই নয়, কয়েকমাস আগেও ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একের পর এক মৃত্যুর পর অনেকটাই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। যার কোপ পড়েছিল সাধারণ বাজি ব্যবসায়ীদের উপর। রাতারাতি অবৈধ বাজি কারখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।