চোপড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ পর্বেও দিনভর উত্তপ্ত রইল রাজ্য (Panchayat Elections 2023)। বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, তাণ্ডব চলল দিনভর। চোপড়ায় বাম-কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় গুলি চলে বলে অভিযোগ সামনে আসে। তাতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় CPM. কংগ্রেসও (Congress) দাবি করে, গুলিবিদ্ধ হয়ে দু'জন মারা গিয়েছেন, একজন তাদের দলের সদস্য, অন্য জন লালশিবিরের। কিন্তু পুলিশের দাবি, চোপড়ায় কারও মৃত্যু হয়নি। আহত হয়েছেন একজন (Chopra Firing)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে তিনি (Chopra News)। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বলে পাল্টা দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। দুপুর ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এদিন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় যৌথ মিছিল করে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম-কংগ্রেস প্রার্থী এবং কর্মী ও সমর্থকেরা। সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় বলে দাবি।
গোড়ায় জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে CPM জানায়, দু'জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। কংগ্রেসও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়, যাঁদের মধ্যে একজন তাঁদের দলের সদস্য বলে জানায় হাতশিবির। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বাইরে জমায়েতও ডাকা হয়। তাতে নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। যদিও সন্ধেয় পুলিশ জানায়, চোপড়ায় কেউ মারা যাননি। আশঙ্কাজনক শুধু একজন। চোপড়ায় গুলি চলার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত নেই বলে এদিন বিকেলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তবে মনোনয়নের শেষ দিনে, দিনভর অশান্তির সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এদিনও ফের নতুন করে তেতে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। সেখানে মুহুর্মুহু বোমাবাজি, এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তাতে দু'জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে, যাঁদের মধ্যে একজন ISF কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা জানিয়েছেন, তাঁদের এক কর্মীও মারা গিয়েছেন ভাঙড়ে।
এদিকে, মনোনয়নের শেষ দিনে ভাঙড়ে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু। গোলাগুলিতে সেখানে দুই ISF কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলেরও এক কর্মী মারা গিয়েছেন বলে জানান বিধায়ক সওকত মোল্লা।