চোপড়া: মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কর্মীর (Chopra Firing)। তার প্রতিবাদে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB Election Commission) অভিযান CPM-এর।  বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কলকাতায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে জমায়েতের ডাক দিয়েছে তারা। নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের দলদাস সুলভ আচরণের প্রতিবাদে এই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) সেই জমায়েতে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গিয়েছে (Panchayat Elections 2023)। 


বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও রক্তপাত ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময়, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি  চলে। অভিযোগের তির শাসকদলের তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুহুর্মুহু গুলিতে দুই CPM কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি দলের। কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। CPM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও এই পরিসংখ্যানই দিয়েছেন। 


দলের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘চোপড়ায় মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে বাম-কংগ্রেসের মিছিলের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ। প্রাথমিক খবর অনুসারে, নিহত ২, আহত কমপক্ষে ২০। নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতা, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের দলদাসের ভূমিকার প্রতিবাদে আজ বিকেলে বামফ্রন্ট্রের চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানাতে, অবাধ, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ। আজ বিকেল ৫টায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরের সামনে জমায়েত’।



আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: পর পর উড়ে এল ৩০টি বোমা, পুলিশ-RAF থাকতেও চলল গুলি, মনোনয়নের শেষ দিনও অগ্নিগর্ভ রইল ভাঙড়


শুরুটাই হয়েছিল অশান্তি, ঝামেলা দিয়ে। শেষও হল রক্তপাত, হানাহানি দিয়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও চরম অশান্তির সাক্ষী থাকল রাজ্য। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর  উত্তর দিনাজপুরেও মনোনয়ন-হিংসা। মনোনয়ন কেন্দ্রের ৭ কিলোমিটার দূরে চোপড়ার কাঁঠালবাড়ি এলাকায় কংগ্রেস-সিপিএমের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর মেলে। গুরুতর জখম আরও ২ জন বলে জানা যায়। যদিও CPM জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।


বাম-কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে গতকাল পর্যন্ত তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি। সেই কারণে এদিন চোপড়ার লালবাজার থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস এবং CPM প্রার্থীরা। মাঝপথে গুলি চলে বলে অভিযোগ। CPM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের মতে, তৃণমূল হিংসার বিরুদ্ধে। তাই এমন ঘটনা কম। তবে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কংগ্রেসের ও রাজ্য কর্মী সংগঠনের।  স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের আর্জি প্রধান বিচারপতির কাছে।