ভাঙড়:  মনোনয়নের শেষ দিনে রক্তাক্ত ভাঙড় (Bhangar News)। দফায় দফায় সংঘর্ষ, ব্যাপক বোমাবাজি, এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ।অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ISF কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহত ISF কর্মীর নাম মইনউদ্দিন মোল্লা বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার দাবি, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে রশিদ মোল্লা নামের এক তৃণমূল কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে (Panchayat Elections 2023)।


বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিনও সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা তো দূর, বরং চোখের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতে অন্তত ৩০টি বোমা উড়ে আসে সেখানে। স্থানীয়দের দাবি, কমপক্ষে ১০০টি বোমা পড়ে। মনোনয়নপর্ব শেষ হয়ে গেলেও বোমাবাজি অব্যাহত থাকে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। 


অশান্তি চলাকালীন এদিন এলোপাথাড়ি গুলিও চলে বলে অভিযোগ। দুপুর ৩টেয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও চলতে থাকে অশান্তি। চারিদিকে বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি চলতে থাকে। তাতে ISF কর্মী মইনউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক সওকতের দাবি, তৃণমূল কর্মী রশিদও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। একদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে ISF. যদিও তৃণমূলের দাবি, অশান্তির মূলে ISF-ই।


আরও পড়ুন: Panchayat Election: ভাঙড়ে তুমুল অশান্তি! মমতার পদত্যাগ দাবি নৌশাদের


এর আগে, বুধবার যখন অশান্তি চরমে, নবান্নে ছুটে এসেছিলেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। নৈরাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ নৌশাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মমতা। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে মমতাকে নিশানা করেন নৌশাদ। সরাসরি রজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।


এদিন সকালে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও গুলি চলে। CPM এবং কংগ্রেসের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে একজনের মৃত্যু হয়। পরে CPM জানায়, দু'জন মারা গিয়েছেন আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। এর প্রতিবাদে বিকেলে কমিশনের দফতরে জমায়েত করেছে তারাও। সেখানে পৌঁছেছেন নৌশাদও। নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আরবুল ইসলামের মতো নেতাদের গ্রেফতারির দাবিও তোলেন।