কলকাতা: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Panchayat Elections 2023)। মনোনয়ন জমা নেওয়াও শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনের হিসেব ধরলে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার নিরিখে সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তাহলে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্যের সব আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই কলকাতায় এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেন সুকান্ত। সেখানে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনe জানতে চাইলে একটু রাখঢাকই করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে তিনি যা বলেন, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণও। কারণ সুকান্তর কথায়, "পাঁচ হাজার মনোনয়ন হয়ে গিয়েছে আমাদের। হয়ে গিয়েছে ডিসিআর। আমরা ফার্স্টবয় আছি। আমাদের ধারেকাছে নেই কেউ। বিজেপি সব জায়গাতেই প্রার্থী দেবে। আর কোথাও না দিলে বুঝবেন, কৌশলগত ভাবেই দেওয়া হয়নি।"
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরুপাচারের অভিযোগে যখন জেরবার শাসকদল তৃণমূল, সেই সময় সমবায় নির্বাচনগুলিতে অলিখিত ভাবে তৃণমূল বিরোধী শিবিরের একজোট হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। তৃণমূলকে হারাতেই ভিতরে ভিতরে পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কি তাহলে তৃণমূলকে হারাতে একই পন্থা নেবে বিরোধী দলগুলি? বিজেপি-ও কি তাহলে তাতে শামিল হবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election: আগে মনোনয়ন, পরে জোট-আলোচনা! ফর্মুলা বাম-কংগ্রেসের
এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, "খাতায় কলমে কারও সঙ্গে জোট নেই আমাদের। কাকে ভোট দিতে হবে, নিচুতলার মানুষই সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। মানুষ জানান, বিরোধীই একমাত্র বিরোধী এবং প্রকৃত বিরোধী।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখনও সময় থাকলেও, মনোনয়ন জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাকে ঘিরেও গত দুই দিন ধরে ব্যাপক অশান্তি, এমনকি রক্তপাত চোখে পড়েছে। সেই নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, বাম আমল থেকে এমনটাই চলে আসছে। আজ পর্যন্ত একটিও রক্তপাতহীন নির্বাচন করা যায়নি বাংলায়, যা বাংলা এবং বাঙালির লজ্জা।
সুকান্তের কথায়, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে বাংলায় হিংসার সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। বামফ্রন্টের সময় থেকে দেখে এসেছি, বাড়িতে থান কাপড় দেওয়া, বোমাবাজি, গুলি চলা। আজ এতগুলি বছর কেটে গিয়েছে, স্বাধীনতার ৭৫ বঠর পার। কিন্তু বাংলা তথা বাঙালির লজ্জা যে, এখনও রক্তপাতহীন নির্বাচন করাতে পারিনি আমরা। এই ধারাবাহিকতা পাল্টানো দরকার।"