কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) আবহে হিংসার মধ্য়েই জেলায় জেলায় দলবদলের হিড়িক। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি। তিন জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।                         


তৃণমূলে ভাঙন ধরাল সিপিএম: খুন, বোমাবাজি, বাঁশ লাঠি হাতে তাণ্ডব। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে এই ছবি ধরা পড়েছে বাংলায়। মনোনয়ন পর্ব মেটার পরেও সেই সন্ত্রাস অব্যাহত। আর এ সবকিছু মধ্যেই, তৃণমূলে একের পর এক ভাঙন ধরাচ্ছে বিরোধীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। মহেশপুর গ্রামে সিপিএমে যোগ দিল তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি সহ ৬৫টি পরিবার। তৃণমূলত্যাগীদের দাবি, শাসকদল গরিবদের বঞ্চিত করছে। খড়গপুরের সিপিএমে যোগদানকারী তৃণমূল নেতা শেখ নাজিরুদ্দিন বলেন, “ছোটো নেতা থেকে বড় নেতা নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করছে। গরিব মানুষের জন্য কিছু করছে না।’’

একই ছবি ধরা পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। সিপিএমের দাবি, বকপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা-সহ ৪০০ জন যোগ দিলেন তাদের দলে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতেও শাসকদলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। বুথ সভাপতি সহ প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করল। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যোগদান মেলার আয়োজন করেছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে জয়ের পরে দলবদলের স্রোত দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দিকে। আর এবার গ্রামবাংলা দখলের লড়াইয়ের আবহে জেলায় জেলায় শাসকদলে ভাঙন ধরাচ্ছে সিপিএম।                            


৮ জুলাই অর্থাৎ শনিবার হবে পঞ্চায়েত ভোট। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জানান রাজীব সিন্হা। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। কিন্তু, ২০১৮ সালে ভোট হয় এক দফায়। এবারও, পঞ্চায়েত ভোট এক দিনেই ঘোষণা করল রাজ্য় নির্বাচন কমিশন।সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করায়, তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। ৮ জুলাই, ২০টি জেলা পরিষদ, ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিএবং ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হবে। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই।


আরও পড়ুন: Split Ends: স্প্লিট এন্ডস কী? চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু টিপস