কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আদালতের নির্দেশে অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের (UpperPrimary) প্যানেল প্রকাশ হল। প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার জনের বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের অনুমতি পেলে কাউন্সেলিং হবে, জানালেন এসএসসির চেয়ারম্যান।
উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ: পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারির প্রায় ৯ বছর পর শেষমেশ আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশিত হল। তাহলে কি পুজোর আগে দীর্ঘদিন নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে? তৃণমূল জমানায় উচ্চ প্রাথমিকের জন্য টেটের প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। ২০১৫-র অগাস্টে হয়েছিল টেট। তার পরের বছরই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তার প্রায় ৯ বছর পর শেষমেশ আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশিত হল বুধবার। উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদ রয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৯। ১১টি বিষয়ে আলাদা করে মেধা তালিকা ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করেছে এসএসসি। ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নাম, প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ সহ তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তবে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের কাউন্সেলিং আদালতের অনুমতি সাপেক্ষ।
উচ্চ প্রাথমিকের পরীক্ষা নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০২০তে অনিয়মের কারণে বাতিল হয়েছে পুরো মেধা তালিকা। দুবার করে ইন্টারভিউতে বসতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। অবশেষে হাইকোর্টের তৎপরতায় উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র কবে হাতে পাবেন, সেটাই এখন দেখার।
নিয়োগের দাবিতে ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার, শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-এর বঞ্চিতরা। ২০১৬ সালে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উত্তীর্ণ হওয়ার ৭ বছর পরও মেলেনি চাকরি। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির সামনে দিনের পর দিন অবস্থানে বসে রয়েছেন এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-এর চাকরিপ্রার্থীরা।অবস্থান আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন, শিয়ালদা থেকে মৌলালি হয়ে ক্রিক রো, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, প্রয়োজনে সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হোক। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের ক্রসিংয়ে পথ অবরোধও করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একদিকের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা চলছে। জেলবন্দি রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে শাসক নেতা। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা কবে তাঁদের প্রাপ্য পাবেন? কবে শিক্ষক হিসেবে ক্লাসরুমে পৌঁছতে পারবেন তাঁরা? সে প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে পালন করা উচিত? সর্বদল বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী