সৌমিত্র মজুমদার, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: আন্দোলন প্রত্যাহার করেও, বালিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা অফিসের সামনে ফের রাতভর ধর্নায় ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও সংসদ এখনও প্যানেল প্রকাশ করেনি। অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ ও নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার দাবিতে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ফের ধর্নায় বসেছেন ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা।


অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ ও নিয়োগের দাবিতে বালিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা অফিসের সামনে গতকাল থেকে অবস্থানে বসেছেন ২০০৯-এর প্রাথমিকের দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। এই মামলায় হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে সংসদকে প্যানেল প্রকশ করে নিয়োগ করতে হবে। 


সল্টলেকের করুণাময়ীতে, মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ভেঙে দিয়েছিল পুলিশ। সপ্তাহখানেক আগে টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার চেহারা নিয়েছিল এক্সাইড মোড়। এবার বালিগঞ্জে ফের অবস্থান শুরু করলেন ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার টেট চাকরিপ্রার্থীরা!  ১৩ বছর ধরে একটা চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন এই প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও সুরাহা হয়নি। এখন হাইকোর্টের নির্দেশের পর, সংসদ যাতে অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে, সেই দাবিতেই অবস্থানে বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা, ২০০৯ সালের এই প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা 


হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে গান্ধী মূর্তির কাছে অবস্থানে বসেছিলেন। প্রশাসনের তরফে সমস্যা সুরাহার আশ্বাস পেয়ে ৩৭ দিনের মাথায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২ সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তারপরও সংসদ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই সোমবার সকাল ১০টা থেকে বালিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা অফিসের সামনে অবস্থান বসেছেন তাঁরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েককে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও, তিনি কোনও উত্তর দেননি। 


দুই ২৪ পরগনা, মালদা ও হাওড়া- এই চার জেলায়, নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল।কিন্তু সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যায়, প্যানেল। এঁদের অনেকেই ২০১৪-র টেটে অংশ নিয়েছিলেন। দু’বার পরীক্ষা দিয়ে, পাস করা সত্ত্বেও, অনেকে নিয়োগপত্র পাননি বলে দাবি। সেই অপেক্ষা কবে শেষ হবে? আশা-নিরাশার দোলাচলে ভুগতে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন সেটাই।