কলকাতা: প্রভাবশালী তত্ত্বে ফের জামিনবের আর্জি খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ অত্যন্ত প্রভাবশালী, জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে যেতে পারে বলে আদালেত আশঙ্কা প্রকাশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থর। ED-র পাঁচ যুক্তিতে পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত।


বৃহস্পতিবার পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। তার বিরোধিতায় পার্থর প্রভাবশালী পরিচয় আদালতে তুলে ধরে ED.  পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে ED জানায়, অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিকটাত্মীয় লিখেছিলেন পার্থ। গ্রেফতারির সময় মাঝরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বার বার ফোন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। 


শুধু তাই নয়, ED আরও জানায়, এসএসকেএমে প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বদল করেন পার্থ। প্রভাবশালী বলেই গ্রেফতারির ৮ মাস পরেও জেলে আংটি পরে থাকতেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। আদালতে পার্থকে আনতে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করে পুলিশ, অন্য বন্দিদের জন্য প্রিজন ভ্যান। পার্থর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বে ইডির এই 'পঞ্চবাণে'ই সিলমোহর দিল আদালত। আবারও খারিজ হয়ে গেল পার্থর জামিনের আবেদন। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: '২৪-এর ভোটে 'EVM হ্যাক'! আশঙ্কা মমতার


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। যদিও আগাগোড়াই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তাঁরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উদ্ধার হওয়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা তাঁদের নয় বলেও একাধিক বার দাবি করেছেন পার্থ এবং অর্পিতা । তাহলে তাঁর দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা কার? এতবড় দুর্নীতির নেপথ্যে আর কোন বড় মাথা রয়েছে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিপথ নিয়ে আগাগোড়া আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরাও। আদালতে ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। যেমন, গ্রুপ D’র নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় CBI’এর রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, "হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা হিমশৈল জলের নীচে আছে।" বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, "নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল অপরাধী কে সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। সুড়ঙ্গের শেষে কোনও আলো দেখতে পাচ্ছি না।"