কলকাতা: তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী তিনি (Mamata Banerjee)। অ্যান্ড্রু ইউলের মতো সংস্থার মোটা টাকার চাকরি চলে এসেছিলেন মমতার ছত্রছায়ায়। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Recruitment Scam) মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই তৃণমূল (TMC) তথা দলনেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে দেখা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর সেই দূরত্ব আরও বেড়েছে বলে জল্পনা চলছিল কিছু দিন ধরেই। এ বার তাতে সিলমোহর দিলেন খোদ পার্থই। শুক্রবার সকালে বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেও মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানালেন তিনি।
মমতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ পার্থ!
শুক্রবার সকাল থেকে টানা সাড়ে ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে পার্থকে গ্রেফতার করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। নাকতলার বাড়ি থেকে কনভয়ে চাপিয়ে সোজা জোকায় ইএসআই হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে বেরনোর সময় কয়েক মুহূর্তই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পার্থ। সেখানে মমতার সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পার্থ বলেন, "নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, পাইনি।" পার্থ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং সম্পত্তির সঙ্গে দলের কোনও সংযোগ নেই বলে এ দিন সকালেই মন্তব্য করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তার পর পার্থর এই মন্তব্য দলের সঙ্গে তাঁর বর্ধিত দূরত্বেরই প্রমাণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। সকালে দিল্লির সদর দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইডি-র তদন্তকারীরা। এর পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, আজই আদালতে তোলা হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হেফাজত চাওয়া হবে।
শুক্রবার রাতভর নাকতলার বাড়ির দোতলার একটি ঘরে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নীচে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নেতাজিনগর থানার পুলিশ। সকালে পার্থর বাড়িতে যান তাঁর আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত। গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি ফোন।
পার্থকে আজই আদালতে তোলা হতে পারে
ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অর্পিতার আত্মীয় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়দের নামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। সেই সমস্ত সম্পত্তির হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।