মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: অন্ডাল (Andal) পুলিশের বড় সাফল্য। ছিনতাই হওয়ার দু' ঘণ্টার মধ্যেদুই ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করল অন্ডাল থানার পুলিশ। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুঠ করা নগদ চার লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার এক ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুই দুষ্কৃতী প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে পালায়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী লৌহ শিল্পের ব্যবসা করেন। ছিনতাইয়ের ঘটনার পরই খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানায়। অন্ডাল থানার পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইবাজদের ধরার কাজ শুরু করে দেয়। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। তারইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর খোয়া যাওয়া চার লক্ষ টাকাও। এদিন ঘটনাটি ঘটে অন্ডাল ব্রিজের কাছে।
আরও পড়ুন - West Burdwan: পুজোর কেনাকাটায় করোনা বিধিতে নজরজারির সিদ্ধান্ত পশ্চিম বর্ধমান প্রশাসনের
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে অন্ডাল থানা এলাকার দু' নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্গাপুরের ঝান্ডাবাদ এলাকা থেকে এক লৌহ ইস্পাত শিল্পের ব্যবসায়ী জামুড়িয়ার দিকে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই অন্ডাল ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ির সামনে চার চাকা গাড়ি করে আসা চারজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা নগদ অর্থ ছিনতাই করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পর ব্যবসায়ীর চিৎকারে পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইবাজদের গাড়িটিকে ধরার জন্য ধাওয়া করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বক্তানগর টপ লাইনের কাছে নাকা চেকিং চলছিল। সেই সময় দুষ্কৃতীদের গাড়িটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হলেও তারা দ্রুত গতিতে জাতীয় সড়কে ছুটতে থাকে। ঘটনার খবর মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত থানার পুলিশকে দেওয়া হয়। এরপরই আসানসোল উত্তর থানা এলাকার কন্যাপুরের কাছে দুষ্কৃতীদের গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশকে দেখে গাড়ি থেকে তখন কুড় টাকার বেশ কিছু নোটেক বান্ডিল রাস্তায় ফেলতে থাকে ছিনতাইবাজরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ছিনতাই হওয়া টাকা সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, দুজন গ্রেফতার হলেও আরও দুজন দুষ্কৃতী এরইমধ্যে পালিয়ে যায়। ধৃতদের অন্ডাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন আসানসোল উত্তর থানার পুলিশকর্মীরা। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী যে ওই সময় লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যাবেন, সেই খবর যার মাধ্যমে পেয়েছিল দুষ্কৃতীরা, তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে অন্ডাল থানার পুলিশ। সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তও চলছে।