কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি (পশ্চিম বর্ধমান) : এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটো। ২৫টি পিস্তলের উৎস খুঁজতে গিয়ে খোঁজ মিলল আস্ত একটা কারখানার। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে ফের বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। অস্ত্রসহ ধৃত যুবকদের জেরা করে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে ফের হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার। পুলিশের দাবি, সাঁকতোড়িয়ায় এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে গত ১ বছর ধরে অস্ত্রের কারবার চলছিল। আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পাচার করা হত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে কুলটির বরাকর থানার চেকপোস্টে ২৫টি অস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সেই যুবককে জেরা করে এই কারবারে জড়িত আরও দুই যুবকের খোঁজ মেলে। উত্তরপ্রদেশ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩ জনকে মুখোমুখি জেরায় অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অস্ত্র কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ টি পিস্তল, ১৪টি অসমাপ্ত পিস্তল ও বেশকিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ডিসি (পশ্চিম) আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অভিষেক মোদি বলেছেন, 'তল্লাশি চালিয়ে ৭ টি পিস্তল, ১৪টি অসমাপ্ত পিস্তল ও বেশকিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পাচার করা হত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
বছর দেড়েক আগে কুলটি থানার নিয়ামতপুরে একইভাবে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় একের পর এক অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদার কালিয়াচকে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচকে অস্ত্র কারখানায় তল্লাশি চালায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল একটি সেভেন এমএম পিস্তল। উদ্ধার হয়েছিল ৭টি অসমাপ্ত পিস্তল ও গুলি। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দু’ হাতে অস্ত্র নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হল এক দুষ্কৃতী
হাড়োয়ায় অস্ত্র কারখানার হদিশ, ক্রেতা সেজে পর্দা ফাঁস করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ, গ্রেফতার তিন