কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান : সাতসকালে আসানসোলের (Asansol) হীরাপুরের বার্নপুর ডেলি মার্কেটে ধুন্ধুমার। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি। ঘটনায় জখম হয়েছেন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। পরে হীরাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী (Hirapur Police Station) গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযোগ, স্থানীয় যুবকরা মত্ত অবস্থায় বাজারে তাণ্ডব চালাচ্ছিল, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাঁধে। যা গড়ায় সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টিতে। 


রণক্ষেত্র বাজার


সাতসকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাজারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আসানসোলের বার্নপুর ডেলি মার্কেট। ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি চলে। কেউ বাঁশ, লাঠি হাতে তাড়া করেন।


কিন্তু, গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে? ডেলি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রায়ই মত্ত যুবকরা বাজারে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। বাধা দিলে গালিগালাজ করে। সোমবারও একই ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ করা হয়। তার জেরে স্থানীয়দের ডেকে এনে ওই যুবকরা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। পাল্টা বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান ব্যবসায়ীরা। গন্ডগোলের আঁচ গিয়ে পড়ে বাস ডিপোতেও। সংঘর্ষে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।


বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে


বার্নপুর ডেলি মার্কেটের বাজার সমিতির সদস্য অযোধ্যা প্রসাদ বলেছেন, 'যুবকরা এসে ঝামেলা করে প্রায়ই। এদিনও মত্ত অবস্থায় ছিল।' পাল্টা বার্নপুরের স্থানীয় বাসিন্দা এক যুবকের দাবি, 'পাল্টা আমাদের মারধর করে।' পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ীরা। 


এদিকে, কয়েকদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারিতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। আহত হন উভয়পক্ষের ৪ জন। দু’পক্ষই নিজেদের তৃণমূল সমর্থক (TMC Supporter) বলে দাবি করে।  রাত ১১টা নাগাদ মেমারি শহরের চেকপোস্ট এলাকায় সংঘর্ষ বাধে। গালিগালাজের পাশাপাশি, লাঠি, রড দিয়ে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মেমারি থানার (Memari Police Station) পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্লাব সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গন্ডগোল, রাজনীতি-যোগ অস্বীকার তৃণমূলের। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে মেমারি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, শুধুই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি নয়, আরও একাধিক জেলাতেও গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।


আরও পড়ুন- 'চাইলে শিক্ষকরা যেতে পারেন স্কুলে', জোড়া মামলার নিষ্পত্তির আগেই চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার পর্ষদের