মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আলোর উৎসবে নিষিদ্ধ হয়েছে বাজি পোড়ানো (Fireworks)। কিন্তু তার বিকল্প উপায় হাজির পশ্চিন বর্ধমানে (Paschim Bardhaman News)। দীপাবলির রোশনাই যাতে অব্যাহত থাকে, তার জন্য বিশেষ রকমের বাতি পাওয়া যাচ্ছে সেখানে, যা জ্বালাতে লাগবে না আগুন (Candles)। জলেই জ্বলবে মোমহীন, ধোঁয়াহীন বাতি।


দীপাবলির আগে ধোঁয়াহীন বাতিই এখন বাজার কাঁপাচ্ছে


দীপাবলির আর এক নাম আলোর উৎসব (Diwali 2022)। জমকালো আলোকসজ্জার মাঝেও মোমবাতি না হলে চলে না গৃহস্থের। কিন্তু তার ঝক্কিও কম নেই। তা থেকে নিস্তার দিতেই এই বিশেষ বাতি আনা হয়েছে। দুর্গাপুরের (Durgapur News) বেনাচিতি বাজার, স্টেশন বাজার, চন্ডীদাস বাজার কার্যত কাঁপাচ্ছে এই বাতি।


ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাড়ির ছাদে হোক বা দোরগোড়ায় অথবা পাঁচিলে, মন্দিরে অথবা পুকুরের পাড়ে, যেখানে ইচ্ছে জ্বলানো যাবে এই বাতি। জলের ছোঁয়া পেলেই জ্বলে উঠবে। নিভে যাওয়ার ভয় নেই একেবারেই। প্রযুক্তির দৌলতেই এমন অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।


আরও পড়ুন: Diwali 2022: ইংরেজের বিরুদ্ধে শক্তিসঞ্চয় করতে সূত্রপাত পুজোর, ইংরেজবাজারের দশমাথা কালীকে নিবেদন করা হয় শোল মাছের টকই প্রসাদ


রহস্য খোলসা করে ব্যবসায়ীরা জানান, প্লাস্টিকের তৈরি মোমবাতির ভিতরে রয়েছে রংবেরংয়ের এলইডি আলো। বিদ্যুৎ নয়, ব্যাটারির মাধ্যমে চলছে সেগুলি।আর নিচে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর। জলের স্পর্শ পেলেই জ্বলে উঠছে।


উৎসবের মরসুমে মোম ও ধোঁয়াহীন বাতিই আকর্ষণের কেন্দ্রে


ক্রেতাদের আকর্ষিত করতে নানা আকারে বানানো হয়েছে এই বাতি। বাতি হিসেবে পদ্মফুলের মধ্যে আলোও জ্বলছে। ক্রেতারাও তা হাতে পেয়ে খুশি। করোনায় গত দুই বছর উৎসব সে ভাবে উদযাপিত না করা গেলেও, এ বছর স্বল্প দামের এই বাতি তাঁদের মন কেড়েছে। ফলে বাজারে অন্য সামগ্রীকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই বাতির বিক্রি।


বায়ু এবং শব্দ দূষণ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার। শুধু বাংলাই নয়, দেশের অন্য রাজ্যেও কায়েম হয়েছে এমন নির্দেশ। তাতে কিছুটা হলেও মনমরা উৎসবপ্রেমীরা। তাই আলোকসজ্জার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বেশি করে। নয়া প্রযুক্তিতে তৈরি এই বাতি তাই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।