মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: শিল্পতালুকে জ্বালানির জোগান দিতে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন বসানো হচ্ছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে সেই কাজ থমকে গেল মাঝপথে। স্থানীয়দে দাবি, কোনও রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁদের জমি ব্যবহার করা হচ্ছে পাইপলাইন বসানোর কাজে। যত ক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিপূরণ মেলে, তত ক্ষণ পর্যন্ত কাজ চলতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন বুদবুদের খান্ডারি গ্রামের বাসিন্দারা। 


রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা GAIL মাটির তলা দিয়ে পাইপলাইন বসানোর কাজ করছিল


পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman News) হলদিয়া থেকে পানাগড় পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছিল। শিল্পতালুকের বেসরকারি কারখানাগুলিতে জ্বালানির জোগান দেওয়াই লক্ষ্য। তাই ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা GAIL মাটির তলা দিয়ে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করে। হলদিয়া থেকে পানাগড় পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছিল। 


কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে সেই পাইপলাইন বসানোর কাজ থমকে গেল। এ দিন সকালে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার কর্মীরা যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হন পাইপলাইন বসাতে। তাঁদের গাড়ি আসতে দেখেই সতর্ক হয়ে যান বুদবুদের খান্ডারি গ্রামের বাসিন্দারা। যেই না কাজে হাত দিয়েছেন GAIL-এর কর্মীরা, প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সকলে।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: কারও সুপারিশে নয়, গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছবেন মানুষ, ঘোষণা অভিষেকের


এ দিন বিক্ষোভে শামিল হন এলকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে জমির মালিকরা। পরিস্থিতি তেতে ওঠে তাতে। দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর দুপুরের দিকে GAIL-এর কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয়দের। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। মুহূর্তের মধ্যে তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বুদবুদ থানার পুলিশ। তারাই মধ্যস্থতা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


ক্ষতিপূরণ ছাড়া কাজ শুরু করতে দিতে নারাজ স্থানীয়রা


তবে বচসা, হাতাহাতি বন্ধ হলেও, স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে আপাতত পাইপলাইন বসানোর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি শতকে তাঁদের ৮০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই ক্ষতিপূরণ না দিলে তাঁরা কোনও ভাবেই কাজ শুরু করতে দেবেন না। এ দিন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করে পুলিশ। বোঝানো হয়, প্রশাসনিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। তাতে বিক্ষোভ যদিও তুলে নেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু ক্ষতিপূরণ ছাড়া কাজ শুরু করতে দিতে নারাজ তাঁরা।