মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বরাকরে যুবককে গুলি করে খুনে নতুন তথ্য। মাদক ব্যবসায় আসতে না চাওয়ায় ছেলেকে খুন। অভিযোগ মৃত যুবকের বাবার। শ্যুটআউটের পর থমথমে বরাকর। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি বরাকরে শ্যুটআউট নিয়ে  ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মদতেই মাদক কারবার, অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে সত্যি সামনে আসবে বলে অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে তৃণমূল। 


গতকাল কুলটির বরাকরে ভরসন্ধেয় শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুস্কৃতীরা। এরপর হাসপাতালে মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ যুবকের। বরাকর বাজার সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। গতকালই বন্ধুদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।


উল্লেখ্য গত ১৪ অগাস্ট  গভীর রাতে খড়দায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটে। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ করেন, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


কীভাবে খুন হলেন তৃণমূল নেতা? তাঁর সঙ্গী অভিযোগ করেন, রাতে তৃণমূল নেতার কাছে হুমকি-ফোন আসে। তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।গালিগালাজ করা হয়।  এর কিছুক্ষণ পর খড়দার বড়পট্টি এলাকায় তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই বাইক রেখে রাস্তা আটকায় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কি চলাকালীন গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এর পর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার গলার নিচে গুলি লাগে।


আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পুলিশের দাবি, ধৃতরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।পুরো ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।